এইচএমসিরাজ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন দ্রুত সংস্কার করে সব ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রেলওয়ে স্টেশনে সচেতন ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালান হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় হেফাজতের নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় ২৭ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সব ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।
আরও বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্টেশনে কোনো ট্রেন যাত্রাবিরতি না করায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। সেজন্য স্টেশনটি সংস্কার করে ট্রেনের যাত্রাবিরতি চালু করার দাবি জানান বক্তারা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। জানা যায়নি তাদের নাম-পরিচয়। তাদের বয়স অনুমান ৪০ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে। পৃথক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে তারা নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছেন মর্গে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন খান নোমান জানান, মঙ্গলবার সকালে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে জেলা শহরের কলেজ গেট রেলক্রসিং এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যান। একইভাবে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা এলাকায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আরেক ব্যক্তি মারা যান।
সূত্র:শেয়ার বিজ, জুন ২, ২০২১