শিরোনাম

চিলাহাটিকে গড়ে তোলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক রেল টার্মিনাল হিসেবে

ছবিঃ সংগৃহীত

।। রেল নিউজ ।।
চিলাহাটি রেলস্টেশনকে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই রেল টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের আইকনিক স্টেশন ভবন, ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা, ওয়াশপিট ও অতিরিক্ত লুপ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা-নিউজলপাইগুড়ি আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেস সরাসরি চলাচল করছে। চিলাহাটি রেলস্টেশনে আন্তর্জাতিক ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলেই দুই দেশের যাত্রীরা চিলাহাটি ও হলদিবাড়ি রেলস্টেশনে আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেসে যাওয়া আসার সু্িবধা পাবে।

এ ছাড়া বাংলাদেশের মোংলা পোর্ট হয়ে ভারতের উত্তরপূর্ব অংশ ও নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্তের রেল করিডরকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সোমবার সরেজমিনে চিলাহাটি গেলে সংশ্লিষ্টরা দৈনিক জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই চিলাহাটি রেলস্টেশন এলাকাটি আন্তর্জাতিক টার্মিনালে নতুন মাত্রায় চালু করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে পাল্টে যাবে রেলপথে দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের গতি।

আর আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেসে সহজেই উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা যাতায়াতের সুবিধা পাবেন। যা সার্কভুক্ত বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের হলদিবাড়ি, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি কোচবিহার, দার্জিলিং এবং নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যাত্রী পরিবহন এবং বাণিজ্য বাড়বে কয়েকগুণ বেশি। বর্তমানে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলরুট দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি করা হচ্ছে।

পাথর আমদানি বাবদ বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়। চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি রেল করিডরটি ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ১৯৬৫ সালে ৫ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে এই রেলপথটি বন্ধ ছিল। যা পুনরায় চালু করতে সক্ষম হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের ভারত সফর করেন। এতে দ্বিপক্ষীয় স¤পর্ক জোরদার হয়েছে। ট্রানজিট সুবিধার আওতায় বিনা মাশুলে ভারতের স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহন করতে পারবে বাংলাদেশ। তৃতীয় দেশ বলতে প্রধানত নেপাল এবং ভুটানকে বুঝায়।

নেপাল ও ভুটান ভূবেষ্টিত (ল্যান্ড লকড) দেশ হওয়ায় সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের সুযোগ নেই। তাই মোংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে ভারতের ভূখ- ব্যবহার করে সরাসরি নেপাল ও ভুটানে পণ্য আমদানি রপ্তানির সুযোগ পেতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ চালু হয়। যা দুই দেশের (বাংলাদেশ ও ভারত) প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্ধোধন করেছিলেন। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথের প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় আন্তঃআঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদার করার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাতের উন্নয়ন সহজ করা হয়। যা মোংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানে পণ্য আমদানি রপ্তানির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

সূত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ


2 Trackbacks & Pingbacks

  1. click
  2. Read Full Article

Comments are closed.