শিরোনাম

রেলের টিকিট কালোবাজারি কর্মচারী বরখাস্ত

রেলের টিকিট কালোবাজারি কর্মচারী বরখাস্ত

।।নিউজ ডেস্ক।।

রাজশাহীতে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট বিক্রির সময় জিয়াউর রহমান (৩৬) নামে এক রেল কর্মচারীকে হাতেনাতে আটক করেছেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) গোয়েন্দা সদস্যরা। এ সময় রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের পাঁচটি টিকিট জব্দ করা হয়েছে। আটক কর্মচারী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপকের বার্তাবাহক বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আটক রেল কর্মচারী রাজশাহী নগরীর রেল কলোনির আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

সোমবার রাতে সাড়ে ১১টায় ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছাড়ার আগ মুহূর্তে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে স্ত্রীর মুচলেকা নিয়ে পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

জানা যায়, রেলের টিকিট কালোবাজারি রোধে সারাদিনের মতো সোমবার রাতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আরএনবির গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় সন্দেহজনকভাবে চলাফেরা করা অবস্থায় জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করতে থাকে গোয়েন্দা টিম। পরে প্ল্যাটফর্মে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন প্রবেশ করার পর অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সঙ্গে টিকিটের দামদর ঠিক করার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আরএনবি (গোয়েন্দা) রাজশাহীর ইনচার্জ উজ্জ্বল হোসেন শেয়ার বিজকে বলেন,  রেল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মুচলেকার মাধ্যমে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রেলেই চাকরিরত তার স্ত্রীর মাধ্যমে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

আটক কর্মচারী নিজেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের ঘনিষ্ঠজন বলেও দাবি করেন।

এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার শেয়ার বিজকে বলেন, বিষয়টি রেল বিভাগীয় হওয়ায় আমরা বিভাগীয় অ্যাকশনে যাচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করছি। প্রত্যককে ক্রস পর্যবেক্ষণের আওতায় রেখে রেলওয়ে কর্মচারীকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আমি নিজে হাতে দুজন কালোবাজারিকে ধরে একজনকে এনআরবির হাতে দিয়েছি, অন্যজনকে থানায় হস্তান্তর করা হলো। এগুলো কি কালোবাজারিকে উৎসাহিত করার জন্য, না উৎপাটনের জন্য তা বিবেচনায় আনতে হবে।

ওই প্রতারক রেলের মহাব্যবস্থাপকের ঘনিষ্ঠজন বলে দাবি করা প্রসঙ্গে অসীম কুমার বলেন, ধরা পড়লে অনেকেই বাঁচার জন্য অনেক কথা বলে। আমার যদি তাকে ছাড়ার ইচ্ছা থাকত তাহলে তখনই ছেড়ে দিতে বলতাম। সে আগেও একবার আমার কাছে সাসপেন্ড হয়েছে আমি আসার ১৫ দিনের মাথায়।

সূত্র:শেয়ার বিজ


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.