শিরোনাম

বেনাপোল-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন, পৌঁছাবে সাড়ে ৭ ঘণ্টায়

বেনাপোল-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন, পৌঁছাবে সাড়ে ৭ ঘণ্টায়

মনিরুল ইসলাম:
ভারতগামী যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বেনাপোল-ঢাকা বিরতিহীন সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু হচ্ছে। ৯০০ যাত্রী ধারণক্ষমতার আধুনিক এই ট্রেন চলতি মাসে ঈদের আগেই চালু হতে যাচ্ছে। ট্রেনটিতে থাকবে ১২টি বগি বা কোচ। এসব বগি ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাত্র সাড়ে সাত ঘণ্টায় ট্রেনটি বেনাপোল পৌঁছাবে। আগামী ঈদযাত্রায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এই ট্রেনের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল তল্লাশি চৌকি (চেকপোস্ট) দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাত থেকে আট হাজার মানুষ চলাচল করেন। বেনাপোল থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনো ট্রেন সার্ভিস চালু নেই।

আজ সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান পরিবহন তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি ইতিমধ্যে চালানো হয়েছে। আশা করছি, আগামী কোরবানির ঈদের আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।’

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল-ঢাকা ট্রেনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এই ট্রেনে বিমানের মতো বায়ো-টয়লেট সুবিধা রয়েছে। আসনগুলোও আধুনিক। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। সকাল আটটার মধ্যে ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে যাবে। যাতে ভারতগামী যাত্রীরা সকাল নয়টার মধ্যে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পৌঁছাতে পারেন। বেনাপোল থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যশোর রেলওয়ে জংশনে পৌঁছে ১৫ মিনিটের বিরতি নেবে। এ সময়ের মধ্যে যাত্রী ওঠানো ও রেলের ইঞ্জিন ঢাকামুখী ঘোরানো হবে। এরপর ঈশ্বরদী গিয়ে ট্রেনের চালকসহ অপারেশনাল কর্মী বদলের জন্য আরও ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। পরে ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর স্টেশনে শেষ গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। তবে এর আগে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেনটি থামানো হবে।

বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত এ ট্রেনের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, শোভন চেয়ার ৫০০ টাকা, এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) চেয়ার এক হাজার ও এসি কেবিন এক হাজার ২০০ টাকা। এর সঙ্গে বিরতিহীন সুবিধার জন্য ১০ শতাংশ চার্জ যোগ করতে হবে।

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সাঈদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী ২৫ জুলাই এ ট্রেনের উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিন নির্ধারণ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ চালানো হচ্ছে। যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য বেনাপোল স্টেশনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বিশ্রামাগার সংস্কারের কাজ চলছে।’ তিনি বলেন, ‘বেনাপোল-ঢাকা রেলের নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে তিনটি নামের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সেগুলো হলো-বেনাপোল এক্সপ্রেস, বন্দর এক্সপ্রেস ও ইছামতী এক্সপ্রেস। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যেকোনো একটি নাম দিতে পারেন।’

রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে যশোর থেকে ঢাকার মধ্যে যে ট্রেন সার্ভিস চালু রয়েছে সেটি ১৪টি স্থানে যাত্রা বিরতি করে। এতে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

সুত্র:প্রথম আলো, ০১ জুলাই ২০১৯


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.