।। নিউজ ডেস্ক।।
কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ফিরছেন মানুষ, সেইসঙ্গে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ট্রেনেও ভিড় দেখা গেল বেশ; কোনো পথেই ভোগান্তির অভিযোগ নেই। গতকাল সকাল থেকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে যেসব ট্রেন আসছে, সবগুলোই ছিল যাত্রীতে পূর্ণ। তাদের বেশিরভাগই ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা ফিরছেন।
চট্টগ্রাম থেকে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রী ইমাম হোসেন রানা বললেন, ঈদের তিন দিন আগে ঢাকা ছেড়েছিলেন। ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন। চট্টগ্রাম রুটের ট্রেনগুলোয় এমনিতে ভোগান্তি খুব একটা হয় না। তবে ঈদের আগে যাওয়ার সময় কিছুটা ভিড় ছিল, একটু ভোগান্তিও হয়েছে। আজ ফেরার সময় সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। ট্রেন ঠিক সময়ে এসেছে, ভিড় ছিল না তেমন।
এবার ঈদের আগে উত্তরের পথে ভেঙে পড়েছিল ট্রেনের সূচি। যাত্রীদের কমলাপুরে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। কোনো কোনো ট্রেন ১২ ঘণ্টাও বিলম্বিত হয়েছে। তবে ফেরার পথে ‘পুরো উল্টো’ অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানালেন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ কাটিয়ে আসা বনলতা এক্সপ্রেসের যাত্রী ফজলে রাব্বি। এবার ঈদের আগে ভোগান্তি কেমন হয়েছে, তা মোটামুটি সবাই জানে। সব ট্রেন লেট, ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি যাত্রী, নানা কারণে চরম ভোগান্তি ছিল সবার। তবে ফেরার সময় এসবের কিছুই ছিল না। ফেরার যাত্রা খুবই স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
জামালপুর কমিউটার ট্রেনে ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন গোপালগঞ্জ শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র গোপাল বর্মণ। ঈদের আগে ৬ জুন বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি।
গোপাল বললেন, ঈদের আগে যে যুদ্ধ করে গেছি, আসার সময় তেমন কোনো ঝামেলা হয়নি। মোটামুটি আরামে এসেছি। গতকাল কমলাপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনেও যাত্রীদের ভিড় ছিল। ট্রেনের চলতি ও অগ্রিম টিকিটের জন্য কাউন্টারগুলোর সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় দেখা গেছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি টেইলার্সের দোকান চালান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিলন। ব্যবসার ব্যস্ততা এবং যাতায়াতে ভোগান্তির কথা ভেবে ঈদের আগে তিনি বাড়ি যাননি। গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী যাওয়ার জন্য গতকাল কমলাপুর স্টেশনের টিকিট কিনতে এসেছেন।
তিনি বললেন, ঈদের সময় আমার দোকানে অনেক ব্যস্ততা ছিল, এ কারণে যাইনি। তাছাড়া বাসে বা ট্রেনে টিকিট পাওয়া তো অনেক কষ্ট। টিকিট পেলেও যাওয়ার সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকতে হয়। আমার স্ত্রী বাস জার্নি সহ্য করতে পারে না, বমি-টমি করে অস্থির হয়ে যায়। এ কারণে ট্রেনে যাব। বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গেলেন মোহাম্মদ মাসুম। ঢাকায় তার বাসা গোড়ান এলাকায়। তিনি বললেন, ঈদের আগে নানা জটিলতায় গ্রামের বাড়ি যাওয়া হয়নি। আমাদের পরিবারের সবাই একসঙ্গে বাড়ি যাই। কিন্তু ঈদের আগে আমার ছুটি হয়নি। ভাইয়ের দোকানও খোলা রাখতে হয়েছে। এছাড়া টিকিট পাওয়ার ঝক্কি এবং যাওয়ার পথে ভোগান্তির চিন্তা করে ঈদের সময় বাড়ি যাইনি। এখন সবাই মিলে আরামে যাব।
সূত্র:শেয়ার বিজ