একটি রেল স্টেশনের মাস্টার তিনটি রেল স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন। স্টেশনমাস্টার হাবিবুর রহমান জয়পুরহাট রেল স্টেশনের মূল দায়িত্বে রয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি ঐ জেলার তিলকপুর ও বগুড়া জেলার সান্তাহার রেল জংশনের স্টেশনমাস্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। একজন স্টেশনমাস্টারকে দিয়ে তিনটি স্টেশনের দায়িত্ব পালন করানোর কারণে ঐ সব স্টেশনের দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বগুড়ার সান্তাহার জংশন স্টেশন দিয়ে সান্তাহারসহ নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলা, বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলার আরো কয়েকটি উপজেলার যাত্রীরা রেলপথে চলাচল করে। ব্যস্ততম এই স্টেশনে একজন স্টেশনমাস্টারকে দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু স্টেশনমাস্টারের সংকট থাকায় হাবিবুর রহমানকে আরো দুটি স্টেশনসহ তিনটি স্টেশনের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ অক্টোবর সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন হাবিবুর রহমান। সান্তাহার নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা ও সান্তাহার প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম আম্বিয়া বলেন, সান্তাহার জংশন স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য একসময় স্টেশনমাস্টার ছাড়াও একজন স্টেশন ম্যানেজার ছিলেন। পরে ঐ পদ বাতিল করা হয়। কিন্তু একজন মাস্টারের পক্ষে সান্তাহার জংশন স্টেশন ছাড়াও আরো দুটি স্টেশনের দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তিনি দ্রুত সান্তাহার স্টেশনে একজন স্টেশনমাস্টার নিয়োগের দাবি জানান।
স্টেশনমাস্টার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জনবলের সংকটের কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে আমাকে যে তিনটি স্টেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদিও আমার জন্য তিনটি স্টেশন চালানো অনেকটাই কষ্টকর।’ তিনি বলেন, ‘আশা করছি, রেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত জনবলের সংকট কাটিয়ে প্রতিটি স্টেশনে স্থায়ীভাবে মাস্টার নিয়োগ দেবে।’ রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চল জোনের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) নাসির উদ্দিন জানান, মূলত জনবলের সংকটের কারণেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত প্রতিটি রেল স্টেশনে স্থায়ীভাবে মাস্টারসহ অন্যান্য পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।
সূত্র:ইত্তেফাক, ২৬ নভেম্বর, ২০২০