শিরোনাম

ভাঙ্গুড়ায় বড়ালব্রীজ স্টেশনে পদ্মা ও ধূমকেতু ট্রেনে যাত্রী হয়রানি

পদ্মা ও ধূমকেতু ট্রেনে

রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর সার্ভিস পরিচালিত পদ্মা ও ধূমকেতু ট্রেনে টিকেট কেটে ভ্রমণ করতে না পারায় প্রায় প্রতিদিনই হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন ট্রেনযাত্রীরা। বড়ালব্রীজ স্টেশনে প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য ২ মিনিট বিরতির কথা থাকলেও ট্রেন দু’টির চালকরা সেটা মানছেন না। গত এক মাস ধরে প্রায় প্রতি দিনই ট্রেন দু’টি নির্দিষ্ট সময়ের ৩০-৪০ মিনিট পরে স্টেশনে এসে তাড়াহুড়া করে ১ মিনিটের বেশি বিরতি দেয়না। এতে স্টেশনে আগত অর্ধেক যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে হুড়াহুড়ি করে ট্রেনে উঠতে পারলেও অনেকেই থেকে যাচ্ছে। ট্রেন দু’টিতে ভোগান্তির স্বীকার যাত্রীরা এ বিষয়ে স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ ও পৌর মেয়রকে জানালেও এখনো বন্ধ হয়নি যাত্রীদের ভোগান্তি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্টেশন কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা ট্রেনটি বড়ালব্রীজ স্টেশনে সন্ধ্যা ৫.৪৫ মিনিটে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা নির্দিষ্ট সময়ের ২৫মিনিট পরে স্টেশনে এসে দাড়ায়। এসময় অপেক্ষারত যাত্রীরা তাড়াহুড়া করে ট্রেনে চড়তে গিয়ে বগির গেটে জটলা বেধে যাওয়ায় মহিলাসহ অনেকেই ট্রেনে চড়তে পারেনি। এসময় প্রায় অর্ধশত যাত্রীকে ফেলে রেখেই ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে চলে যায়। পরে ফেলে রাখা যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে স্টেশন মাস্টারের একজন সহযোগী যাত্রীদেরকে পরবর্তী ট্রেনে দারিয়ে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে হয়রানির স্বীকার হন যাত্রীরা। প্লাটফর্মের ফল বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহের যেদিনে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। সেদিনই যাত্রী রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। অনেকে টিকেট না কেটে ট্রেনে ইচ্ছামত বগিতে চড়ার চেষ্টা করেন। এতে বগির গেটে জট লাগায় অনেকেই ট্রেনে চড়তে পারেননা বলে জানান তারা।

হয়রানির স্বীকার উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মধু (৫৫) বলেন, ট্রেন স্টেশনে আসা মাত্র বগির গেটে জটলা বেধে যায়। এসময় ট্রেনটি ১মিনিটের কম সময় বিরতি দেয়ায় আমি অনেক চেষ্টা করেও ট্রেনে চড়তে পারিনি।

যাত্রী ফেলে রেখে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে স্টেশনের বুকিং ইনচার্জ মেহেদি আল মাসুদ জানান, আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি। এরপরও সময় কভার করার জন্য তাড়াহুড়া করে প্রায়ই যাত্রী ফেলে রেখে চলে যায় ট্রেন দু’টি।

ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, প্রায় প্রতিদিনই যাত্রীরা এসে ট্রেনে হয়রানির অভিযোগ দিচ্ছে। চেষ্টা করেও প্রতিকার হচ্ছেনা। অধিকাংশ যাত্রীদের মতে, রেল পরিচালকদের অবহেলার কারনে যাত্রীরা এধরনের হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। কেবল পরিচালকদের সুদৃষ্টি পারে যাত্রীদের হয়রানি থেকে রক্ষা করতে।

সুত্র:দৈনিক জনকন্ঠ,২ ডিসেম্বর ২০১৭


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.