শিরোনাম

বিনা টিকিটে ট্রেনে চবি ভর্তিচ্ছুরা, ভোগান্তিতে সাধারণ যাত্রী

চবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শেষে শাটল ট্রেনে পরীক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে নগরে ফেরার দৃশ্য। প্রতীকী ছবিটি ১৬ আগস্টে তোলা (ষোলোশহর, চট্টগ্রাম নগরী)।

।। রেল নিউজ ।।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রেন, বাস ও প্রাইভেট গাড়ি করে আসছেন পরীক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেট-চট্টগ্রামমুখী ট্রেনেই আসছেন অধিক সংখ্যক পরীক্ষার্থী। তাই এই দুই রুটেই দেখা দিয়েছে নানান বিড়ম্বনা।

জানা যায়, টিকিটবিহীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। এসব পরীক্ষার্থীকে ট্রেনের টিকিট চেকাররা (টিসি) কোনো কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই শত শত পরীক্ষার্থী সম্মিলিতভাবে মারমুখী হয়ে এগিয়ে আসেন। এ অবস্থায় ভাঙচুর, ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে বসে থেকে ট্রেন অবরোধ, স্টাফদের আটকে রাখা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে আতঙ্ক এবং অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন রেলওয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা। চবির ভর্তি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আতঙ্ক থাকবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ গতকাল ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী তূর্ণানিশিতা এবং আগের দিন শুক্রবার ঢাকামুখী সোনার বাংলা, মহানগর গোধুলী এবং তূর্ণানিশিতা ট্রেনে শতশত পরীক্ষার্থী টিকিটবিহীন ট্রেন ভ্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ। এতে টিসিরা নিরাপত্তার কারণে পরীক্ষার্থীদের টিকিট চেকিং করা থেকে বিরত থেকে অসহায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে বাধ্য হন বলে জানান রেলওয়ের দায়িত্বশীলরা।

শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে সুবর্ণা এক্সপ্রেসে আসা ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, পাঁচ দিন আগে ট্রেনের টিকিট কেটেও অনেক কষ্টে সিটে বসতে পেরেছি। বিনা টিকিটের যাত্রীরা আমার সিট দখল করে রেখেছিল। রেলের স্টাফরা এসে অনেক অনুরোধ করেই আমাকে বসিয়েছে। চট্টগ্রামে নাকি পরীক্ষা আছে, তাই বলে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করবেন তারা? এটা কোন ধরনের আচরণ। দেশে কি কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই! এমন অভিযোগ চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের অধিকাংশ যাত্রীর।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার দে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হওয়া থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-ঢাকামুখীসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেনগুলোয় বিনা টিকিটে শত শত পরীক্ষার্থী ট্রেন ভ্রমণ করছেন। টিসিরা টিকিটের কথা বললেই ক্ষেপে ওঠেন পরীক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে বিনা টিকিটে না যাওয়ার জন্য বাধা দিলে ইঞ্জিনের সামনে বসে ট্রেন আটকে দেন পরীক্ষার্থীরা। তাছাড়া ট্রেন ছাড়ার সময় হলে শত শত পরীক্ষার্থী একত্রিত হয়ে জোর করেই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেন। এরপর ট্রেনে উঠে পড়েন। কিছু বলতে গেলে ভাঙচুর, ট্রেন আটকে দেওয়াসহ নানা হুমকি দেন তারা।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মোহাম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, পরীক্ষার্থীদের কাছে বিনা টিকিটের বিষয়ে প্রশ্ন করলে উল্টো রেল স্টাফদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। কয়েকদিন আগে লাকসামে ‘সোনার বাংলা’ ট্রেন আটকে রেখেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। পরে আমি স্বশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে হয়েছে। তারপরও চেষ্টা করছি কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য।

প্রসঙ্গত, চবির ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষসহ নানা ক্যাটাগরির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এই কারণে চট্টগ্রামমুখী রেল যোগাযোগের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে যাত্রীদের।

সূত্রঃ দৈনিকশিক্ষাডটকম


2 Trackbacks & Pingbacks

  1. ufabtb
  2. buy weed online

Comments are closed.