শিরোনাম

খুলনায় আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে সাড়ে চার কোটি টাকা

খুলনায় আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে সাড়ে চার কোটি টাকা

শুভ্র শচীন, খুলনা: নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় খুলনায় আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে সাড়ে চার কোটি টাকা। ছয় মাস আগে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আট মাস সময় বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে এ ব্যয়।

সূত্র জানায়, কয়েকবার দরপত্র জটিলতাসহ নানা কারণে সময়ক্ষেপণের পর এই আধুনিক রেলস্টেশনটির নির্মাণ কাজ ২০১৫ সালের এপ্রিলে শুরু হয়। ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ মাস মেয়াদে গত বছরের অক্টোবরে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় এ প্রকল্পে এখন অতিরিক্ত চার কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় বেড়েছে।

তিনতলা রেলস্টেশন ভবনের প্রথম তলায় থাকছে ছয়টি টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিংরুম ও সহকারী স্টেশন মাস্টারের রুম। দ্বিতীয় তলায় স্টেশন মাস্টারের রুম, রেস্টুরেন্ট, তফসিলি ব্যাংকের শাখা, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা ওয়েটিংরুম, ফাস্টফুডের দোকান এবং রেল কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা কক্ষ। তৃতীয় তলায় রেলওয়ে প্রকৌশলীদের কক্ষ। তবে স্টেশন ভবনে যাত্রীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা রাখার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। এটি নির্মিত হলে এক সঙ্গে ছয়টি ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ এবং বের হতে পারবে। ফলে প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। থাকছে সিটিং ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল জানান, আধুনিক রেলস্টেশনের মূল ভবনের প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। তিনটি প্ল্যাটফরমের দুটির কাজ শেষ হয়েছে। বাকি একটির কাজ দেরি হওয়ায় (যশোর রোডের পাশে সারিবদ্ধ দোকান অপসারণ করতে দেরি) নির্মাণ কাজও পিছিয়ে যায়। এ বিলম্বের কারণে আধুনিক রেলস্টেশনের নির্মাণ ব্যয় ৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৫৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় এ প্রকল্পে এখন অতিরিক্ত চার কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ছে। তবে সবকিছুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করছে।

নির্মাণকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের উপসহকারী প্রকৌশলী মোসাব্বির হক বিপ্লব জানান, এ পর্যন্ত তাদের ৮২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে। ২নং প্ল্যাটফরম ও সীমানা প্রাচীরের জন্য জমি পেতে দেরি হওয়ায় তাদের কাজ শুরু করতেও দেরি হয়। প্রকল্প ব্যয় বাড়ার

কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, বিলম্বে কাজ শুরু এবং নতুন পানির ট্যাংক স্থাপন কাজের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় প্রকল্প ব্যয়ও বেড়েছে।

এদিকে কাজে ধীরগতি ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেসিসির ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কাজ তদারকিতে কোনো বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার থাকেন না। সবকিছু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে করানো হয়। এছাড়া মাটির নিচে বেজমেন্ট ঢালাইয়ের সময় কোনো ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন না। বিভাগীয় প্রকৌশলী পাকশী এবং প্রধান প্রকৌশলী সরেজমিন না এসে রাজশাহী বসে ফোনেই সব কাজ তদারক করেন ।

সুত্র:শেয়ার বিজ, ১৫ মে ২০১৭


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.