।। নিউজ ডেস্ক ।।
ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন পথে নতুন আট জোড়া স্পেশাল ট্রেন বরাদ্দ দেওয়া হলেও এবারও রংপুর বিভাগে নেই একটিও। প্রতি বছরেই এভাবেই বৈষম্যের শিকার উত্তরের ঘরমুখী যাত্রীরা। নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রংপুরের সুধীজন ও সাধারণ মানুষ।
রংপুর বিভাগে এক কোটি ৩৮ লাখ ৪৭ হাজার মানুষে বাস। এরমধ্যে কর্মের টানে ঢাকায় গামেন্টস সেক্টরসহ বিভিন্ন সেক্টরে মোট জনসংখ্যার বড় একটা অংশ ঢাকা, গাজিপুর, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামে অবস্থান করে। যারা প্রতিবছর ঈদে ঘরে ফেরার পথে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হয়ে থাকেন, কেউ ট্রেনের ছাদে, বাসের ছাদে, ট্রাকে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। এ কারণে অন্যান্য অঞ্চলের মতো রংপুর বিভাগেও বিশেষ ট্রেন চাওয়া হলেও তা মেলে না।
রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, ঈদ এলে দেশের অন্যলাইনে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা হয়; কিন্তু এ ক্ষেত্রে রংপুর সবসময় উপেক্ষিত। যার ফলে বৃহত্তর রংপুরের যাত্রী সাধারণ ট্রেনের ছাদে, বাসের ছাদে, ট্রাকে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। তিনি এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী ও রেলসংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
রংপুর মহানগরীর কামাল কাচনার বাসিন্দা তায়েফ আমিন খান কোয়েল বলেন, রংপুর রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রে বরাবরই অবহেলিত। এর সঙ্গে তো ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় বিড়ম্বনা লেগেই আছে।
রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ ছাড়ার কথা থাকলেও তা ঢাকার উদ্দেশে ১০টা থেকে ১১টার পর যাত্রা করে। বেশ কিছুদিন ধরে ট্রেনের এমন শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। ঈদের আগে এভাবে চলতে থাকলে ঘরমুখো মানুষদের সমস্যায় পড়তে হবে।
বিশেষ ট্রেন না থাকাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এরশাদুল হক রঞ্জু বলেন, রেলওয়ের যেকোনো সিদ্ধান্তে রংপুর বরাবরই উপেক্ষিত। ঢাকাগামী মাত্র দুটি ট্রেন চলাচল করে তারপরও ঈদে বিশেষ ট্রেন বরাদ্দ হয়নি।