মো. আমিরুজ্জামান
কালের সাক্ষী কোচটির নম্বর ১৪৫। জাপানিজ মিটার গেজ কোচটি ১৯৫২ সালে তৈরি সুদীর্ঘ ৬৫ বছরের পথ পরিক্রমায় লালমনিরহাট বিভাগের কত অজানা ঘটনার সাক্ষ্য বহন করা কোচটির অচিরেই মৃত্যু ঘটতে যাচ্ছে।
কোচটির অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তত্কালীন ডিজাইনের কাঠের জানালা, প্রতি কেবিনে স্বতন্ত্র টয়লেট সুবিধা ও ওঠানামার জন্য পৃথক দরজা। এছাড়াও আছে বিশেষ প্রযুক্তির বগি ও সাসপেনসন সিষ্টেম, যা সচরাচর চোখে পড়ে না।
কোচটি উপযুক্ত পরিবেশ পেলে হয়তো শোভা বর্ধন করতে পারতো রেলওয়ের আধুনিকমানের কোনো জাদুঘরে, যেমনটি দেখা যায় উন্নত দেশগুলোতে।
জাপানে এসব জাদুঘরে সংরক্ষণ করেন। যেখানে তারা বিভিন্ন সময়ের লোকো ও কোচগুলোকে সুন্দরভাবে সেডের নিচে সাজিয়ে রাখছেন পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। অথচ আমাদের দেশে কোচগুলোকে কন্ডেম করে কেজি দরে বিক্রি করেই যেন দায়িত্ব পালন শেষ করছি। দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ব্রিটিশ আমলের অনেক নির্দশন থাকলেও জাদুঘর না থাকায় তা সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যত্রতত্র পড়ে থাকায় অনাদর ও অবহেলায় মাটিতে মিশে যাচ্ছে সেসব। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ন্যারোগেজ ইঞ্জিন।
সুত্র:ইত্তেফাক, ১৮ নভেম্বর, ২০১৯