নিউজ ডেস্ক:
আজ সকাল ৭ টায় গাজীপুরে জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি সহ ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করেছে গাজীপুর প্যাসেঞ্জার কমিউনিটি।
মঙ্গলবার (০২ মার্চ) সকাল ১ ঘণ্টাব্যাপী জয়দেবপুর রেল জংশনে এ অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম, হোসনে আরা সিদ্দিকা জুলি, মোহাম্মদ শরীফ হোসাইন প্রমুখ।
গাজীপুরের ৭০ লাখ মানুষের এ দাবি মেনে নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান বক্তারা।
এ সময় অবস্থান কর্মসূচিতে সব আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি, ট্রেনের বগি বৃদ্ধি, জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণসহ ১০ তুলে ধরা হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো:
১। জনসংখ্যা ও স্টেশনের গুরুত্বের ভিত্তিতে জয়দেবপুর জংশন স্টেশনের সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি দিতে হবে।
২। গাজীপুর জেলা ও মহানগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দিনে ৭২ বার ৬ ঘণ্টার বিরম্বনা সৃষ্টিকারী জয়দেবপুর স্টেশনে সংলগ্ন রেলক্রসিং দ্রুত ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে।
৩। জয়দেবপুর জংশন স্টেশন আধুনিক সুবিধা সম্বলিত প্রথম শ্রেণীর স্টেশনে রূপান্তরিত করতে হবে।
৪। তুরাগ ট্রেনের ১৫ টি বগি দিতে হবে তার ভিতরে নারীদের জন্য দুটি বগি সংরক্ষিত রাখতে হবে।
৫। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই ট্রেনের তেজগাঁও ও টঙ্গীতে যাত্রা বিরতি দিতে হবে এবং ঢাকা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬। অফিসের সময় বিবেচনায় নিয়ে তুরাগ ও টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন দুটিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।
৭। গাজীপুর ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারি সব ট্রেনের মাসিক টিকিট দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
৮। জয়দেবপুর স্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের সিট সংখ্যা উভয় দিকেই ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০০ করতে হবে।
৯। টিকিট কাউন্টার বৃদ্ধি করতে হবে এবং চাহিদা অনুযায়ী আসনবিহীন টিকিট দিতে হবে।
১০। ট্রেনের সময়সূচী নির্ধারণ এবং ট্রেনের আসন সংখ্যার নির্ধারণের বিষয়ে গাজীপুর যাত্রী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করতে হবে।