শিরোনাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্প : ফৌজদারহাট থেকে কর্ডলাইনে কক্সবাজার যাবে ট্রেন

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্প : ফৌজদারহাট থেকে কর্ডলাইনে কক্সবাজার যাবে ট্রেন

সুজিত সাহা: পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে একটি কর্ডলাইন স্থাপন করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। এটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটক ও ভ্রমণপিয়াসীরা চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতি ও বিলম্ব এড়িয়ে রাজধানী থেকে সরাসরি পৌঁছে যাবে কক্সবাজার। এতে যাত্রার সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা কমে আসবে।

রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে আসা ট্রেনগুলোর শেষ গন্তব্য চট্টগ্রাম স্টেশন হওয়ায় সাইডিং লাইনে ট্রেন কক্সবাজারে যেতে সময়ক্ষেপণ হবে। এজন্য নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ফৌজদারহাট থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার কর্ডলাইন নির্মাণ করে ষোলশহর স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা চলছে। এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছে রেলওয়ে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আধুনিক রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে চুক্তি হয়। এরপর ২০১৭ সালের জুনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়, যা চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ডিপিপি তৈরির মাধ্যমে প্রকল্পের আটটি মূল কাজ শেষ করবে রেলওয়ে।

প্রকল্পের কার্যাদেশ পর্যালোচনায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত মিটার গেজ রেলপথ থাকলেও নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডুয়াল গেজে রূপান্তর করা হবে। পাশাপাশি ফৌজদারহাট থেকে একটি কার্ভ বা কর্ডলাইন নিয়ে ষোলশহর রেলস্টেশনে যুক্ত করা হবে।

জানা যায়, একসময় ঢাকা-সিলেট রেল চলাচলে আখাউড়া জংশন অতিক্রম করতে হতো। প্রায় এক দশক আগে পাঘাচং থেকে আজমপুর পর্যন্ত আট কিলোমিটার কর্ডলাইন নির্মাণের সুবাদে ট্রেনগুলো আগের চেয়ে ১ ঘণ্টা কম সময়ে যাত্রী ও মালপত্র পরিবহন করছে। একইভাবে ফৌজদারহাট থেকে কর্ডলাইন হলে ঢাকা থেকে আসা ট্রেনগুলো চট্টগ্রাম স্টেশনে না গিয়ে সরাসরি ষোলশহর স্টেশন হয়ে কক্সবাজারে পৌঁছবে। কক্সবাজার থেকেও একই পথে ট্রেনগুলো ঢাকা ও অন্যান্য গন্তব্যে যেতে পারবে।

রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ-সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনকে চট্টগ্রাম স্টেশনে যেতে হলে সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। চট্টগ্রাম স্টেশনে বিরতির পর লোকোমোটিভ বিচ্ছিন্ন করে ট্রেনের অন্য প্রান্তে সংযুক্ত করতে হবে। এরপর দ্বিগুণ দূরত্ব পেরিয়ে ট্রেনটিকে ষোলশহর স্টেশন পৌঁছতে হবে। ঢাকা-কক্সবাজার রুটের পর্যটকরা ভ্রমণকালে এমন বিলম্বে বিরক্ত হবে। গন্তব্যে পৌঁছতে বাড়তি সময় লাগবে। এজন্য সময় বাঁচাতে ও যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে কর্ডলাইন নির্মাণ জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ফৌজদারহাট থেকে ষোলশহর পর্যন্ত কর্ডলাইন নির্মাণের বিষয়টি ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল প্রকল্পের একটি অংশ মাত্র। পর্যটন শহরের যাত্রীরা নিতান্তই বিনোদনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করবে। এজন্য ভ্রমণ সময় যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে কাজ করছে রেলওয়ে।

সুত্র:বণিক বার্তা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.