নিউজ ডেস্ক:
ক্নিনারের বেতন মাসে চার লাখ বিশ হাজার। অবাক হলেও রেলওয়ের কারিগরি প্রকল্পে, এমনই অবিশ্বাস্য বেতন ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অফিস সহায়কের বেতন ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা। রেল মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবনায় এমন বেতনের কথা বলা হয়েছে। আর এই প্রস্তাবকে ‘অস্বাভাবিক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে পরিকল্পনা কমিশন। তবে রেল মন্ত্রণালয় দাবি করছে, প্রস্তাবনায় ভুল হয়েছে।
যাতায়াত ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম রেল। আর এই খাতকে ঢেলে সাজাতে বিভিন্ন সময় নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরেও লোকসানের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে, সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠানটি।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ণে আবারও ২৫৬ কোটি টাকার কারিগরি সহায়তা প্রকল্প হাতে নিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। এর আওতায় বাস্তবায়ন করা হবে ১১টি উপ-প্রকল্প।
সম্প্রতি প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। প্রকল্প মুল্যায়ণ কমিটি, বেতন-ভাতা নির্ধারণে বড় ধরণের অনিয়ম পায়। এরপরই ফেরত পাঠানো হয় রেল মন্ত্রণালয়ে।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যপত্রে দেখা যায়, প্রকল্পে ক্লিনারের বেতন ধরা হয় মাসে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর অফিস সহায়কের বেতন প্রতি মাসে ৮৩ হাজার ৯৫০ টাকা। বিদেশী পরামর্শকদের বেতন মাসে গড়ে ১৬ থেকে ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এই প্রস্তাবনাকে ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছে, পরিকল্পনা কমিশন।
এখন এই বেতন-ভাতা নির্ধারণকে নিছক ভুল বলে দাবি করছে রেল মন্ত্রণালয়; বলছে, এটি সংশোধন করা হচ্ছে।
শুধুই ভুল নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল, তা তদন্তের দাবি বিশ্লেষকদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এই বেতন নির্ধারণের প্রস্তাবে অবাক হয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, দুর্নীতি বন্ধে প্রকল্প অনুমোদনের আগে গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হয়। প্রকল্পের নামে যারা অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সুত্র:jamuna tv, 11TH SEPTEMBER, 2019