শিরোনাম

ঢাকা-পাবনা সরাসরি ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা-পাবনা সরাসরি ট্রেন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক: সরাসরি ঢাকা-পাবনা আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে মানববন্ধন করেছে ঢাকায় অবস্থানরত পাবনাবাসীরা। ঢাকা থেকে পাবনা সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে এই মানবন্ধন করা হয়।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন সমাবেশ থেকে অচিরেই ঢাকা-পাবনা আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস চালু করার পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, ঢাকা থেকে পাবনা সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। কিন্তু কোনো একটি কুচক্রী মহল এই সার্ভিস চালু না করতে তৎপর রয়েছে। তাই সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের তৎপরতায় প্রভাবিত না হয়ে পাবনাবাসীর প্রাণের দাবি হিসাবে ঢাকা টু পাবনা সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করুন।

মানবন্ধন সমাবেশ থেকে বলা হয় রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাবনা জেলার কয়েকশত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধাসহ ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সরকারকে দ্রুত ঢাকা থেকে পাবনা সরাসরি ট্রেন চালু করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও শিগগিরই এই সার্ভিস চালু করা না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি দিয়ে ঢাকার রেলওয়ে ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন এলাকাবাসী।

এর আগে ১৪ জুলাই ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্ধশত বছর পর পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পাবনা-ঈশ্বরদী রেলপথের উদ্ধোধন করেন। পরে তিনি পাবনা পুলিশ লাইন্স মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেন এবং তার আগে ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের আণবিক চুল্লি বসানোর কাজের উদ্বোধন করেন। এটি পাবনা থেকে ইশ্বরদী এবং রাজশাহী যাতায়াত করে।

১৯১৪ সালে পদ্মা নদীতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ চালু হলে সে সময়েই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত লিংক রোড রেললাইনের দাবি ওঠে। ১৯৭৪ সালে ঈশ্বরদী-পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেললাইনের জমি অধিগ্রহণ হয়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০৯ সালে ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেললাইন প্রকল্প পাস করা হয়। পরের বছর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পাবনায় এক জনসভায় এ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য প্রফেসর খন্দকার বজলুল হক, তৌহিদ চপল, মাজহারুল ইসলাম মানিক ও প্রকৌশলী মনির হোসেনসহ অনেকে।

সুত্র:কালের কন্ঠ, ১১ মে, ২০১৯


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.