নিউজ ডেস্ক: এক ট্রেনের নেমপ্লেট দিয়ে চলছে আরেক ট্রেন। এতে উত্তরাঞ্চলের সাথে ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী সবকটি ট্রেন। কোন ট্রেন কখন আসছে, কখন যাচ্ছে তা স্টেশনের মাইকে প্রচার করা হয়না। টিকিট কেটেও নির্ধারিত ট্রেনে অনেকে যেতে না পারায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের সাথে রাজধানী ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে লালমণি এক্সপ্রেস ট্রেনের নেমপ্লেট দিয়ে। লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের নেমপ্লেট দিয়ে। কখনো কখনো কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে রংপুর বা লালমণি এক্সপ্রেস ট্রেনের নেমপ্লেট দিয়ে। এছারাও একতা, দ্রতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনও চলছে একইভাবে। স্টেশনগুলোতে কখন কোন ট্রেন আসছে কোন ট্রেন যাচ্ছে মাইকে প্রচার করা হয়না বলে যাত্রীরা জানান। ফলে নির্ধারিত ট্রেনের টিকিট কেটে যেতে হয় অন্য ট্রেনে।
এতে যাত্রী সাধারণকে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। বিশেষ করে সাধারণ যাত্রী এবং নারী যাত্রীরা এই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বেশি। ট্রেন যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিবার নিয়ে পার্বতীপুর যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে রোববার দিন জয়পুরহাট স্টেশনে অপেক্ষা করছিলাম। ভোরের দিকে ট্রেনটি স্টেশনে এসে পৌঁছে কিন্ত ট্রেনর গায়ে নেমপ্লেটে রংপুর এক্সপ্রেস লেখা থাকায় ট্রেনটিতে উঠিনি। পরে স্টেশন মাস্টারের নিকট ট্রেনের খবর জানতে গেলে তিনি বলেন ট্রেন চলে গেছে। একপর্যায়ে এনিয়ে বাকবিত-া শুরু হয় স্টেশন মাস্টারের সাথে। পরে স্থানীয় রেল পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
অপর এক যাত্রী বলেন, রাতে মাইকে প্রচার না করার কারণে সমস্যা দেখা যায় বেশি। এ বিষয়ে সান্তাহার জংশন স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম বলেন, ট্রেনের র্যাক কম যাত্রীদের সুবিধার জন্য ট্রেন বাড়ানো হয়েছে আর সময় মেন্টেইন করতে এক ট্রেনের র্যাক দিয়ে আরেক ট্রেন চালানো হয়। প্রতিটি ট্রেনে দুই তিনটি ট্রেনের নেমপ্লেট থাকে। ট্রেন আসা যাওয়ার সময় মাইকে প্রচার করা হয়ে থাকে। এতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এক ট্রেনের র্যাক দিয়ে অন্য ট্রেন চালানোর পরও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, দ্রতযান, একতা, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেসসহ সবট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে চলাচল করছে বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন।
সুত্র:ইনকিলাব, ২১ নভেম্বর, ২০১৯