নিউজ ডেস্ক: গতকাল দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ১২ নম্বর জেটিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া ইঞ্জিন আনলোড করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর ‘ডামি’ চাকা লাগিয়ে ইঞ্জিনগুলো প্রাথমিকভাবে ঢাকার টঙ্গী স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে এসব ইঞ্জিন নিয়ে যাওয়া হবে পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানায় (কেলোকা)। ট্রায়ালরান-সহ আনুষাঙ্গিক নিয়মকানুন শেষ হলে এসব ইঞ্জিন রেলওয়েকে বুঝিয়ে দেবে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, লোকোমোটিভ সংগ্রহ তীব্র হওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ইঞ্জিন ক্রয়ের একাধিক চুক্তি করে রেলওয়ে। ১ হাজার ১২৩ কোটি ৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পোগ্রেসিফ রেলওয়ে-ইউএসএ’র সাথে চুক্তি করে রেলওয়ে।
প্রতিটি লটে ৮টি করে সর্বমোট ৫টি লটে এসব ইঞ্জিন বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই হিসাবে আগামী ২০২২ জুনের মধ্যে সবগুলো ইঞ্জিন দেশে পৌঁছাবে। তবে ইঞ্জিনের প্রতিটি লট আসা চলমান থাকলেও দেশে পৌঁছানো ইঞ্জিনগুলো ট্রায়াল রান ও টেস্টিং এর মাধ্যমে রেলের বহরে যুক্ত করা হবে। ব্রডগেজ এসব ইঞ্জিন স্বাভাবিক ভাবে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে চলার সক্ষমতা রয়েছে।