নিউজ ডেস্ক: নবনির্মিত ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেলপথ রুটে শিগগির ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে গত ১৩ নভেম্বর সকালে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে ট্রেনটি রওয়ানা দিয়ে প্রথমে পাবনায় পৌঁছায়। পরে সকাল সোয়া ১০টায় পাবনা স্টেশন অতিক্রম করে দুপুরে ঢালারচর গিয়ে পৌঁছায়। সেখান থেকে বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করে ট্রেনটি সন্ধ্যায় ফিরে আসে। ‘ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের’ আওতায় রেলপথটি নির্মাণ করা হয়েছে।
পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি ১০০ কিলোমিটার গতিতে এক ঘণ্টায় পাবনা স্টেশনে পৌঁছায়। পাবনা স্টেশন ছাড়ার পর নবনির্মিত রাঘবপুর, দুবলিয়া, তাঁতীবন্দ, চিনাখড়া, কাশিনাথপুর হয়ে বাঁধেরহাট এবং ঢালারচর এসে পৌঁছায়। রেলওয়ে প্রকৌশলীরা এ সময় প্রতিটি নতুন স্টেশনে প্লাটফরমের উচ্চতা, শেডের উচ্চতাসহ লাইটিং ও রেললাইন স্থাপনের গভীরতা পরীক্ষা করেন ।
প্রকল্প পরিচালক ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক ইত্তেফাককে জানান, স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। সে সময় জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক ডি এন মজুমদার জানান, পরীক্ষামূলকভাবে পরিদর্শন ট্রেন চলাচলের প্রতিবেদন রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিগগির উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক হবে। তবে এই রুট চালু করতে নতুন রেল স্টেশন, নতুন কোচ, লোকবলও প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথের প্রথম ধাপে পাবনা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হওয়ার পর গত বছর থেকে পাবনা-রাজশাহী রেলরুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মোট ৭৮ কিলোমিটার নতুন রেলরুটের বাকি ৫৩ কিলোমিটারের নির্মাণ দ্বিতীয় ট্রেন চলাচলের জন্য যাবতীয় স্থাপনার কাজ শেষ হয়েছে।
সুত্র:ইত্তেফাক, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯