শিরোনাম

কুড়িগ্রামে সকাল ৭টার ট্রেন চলে ১২ টায়, ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা


।। নিউজ ডেস্ক ।।
ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস সকাল ৭টার বদলে কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে গেছে দুপুর ১২টায়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৫ ঘণ্টা দেরিতে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ায় ট্রেনের যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সকালে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এবং প্রায় দেড়শ যাত্রী নিয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে। যদিও ট্রেনটির কুড়িগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার সঠিক সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিট।

রোববার রাতের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় রাত ১১টা ৪৩ মিনিটে। যদিও ছেড়ে আসার নির্ধারিত সময় ছিল রাত ৯টা ১০ মিনিট।

এই ট্রেনে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়া এক যাত্রী আয়েশা বেগম (৩৫) ১০ মাসের কোলের শিশু ও ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে কুড়িগ্রাম রেল স্টেশনে এসেছেন সকাল ৭টায়। এসে শুনেছেন, ট্রেন আজকে সঠিক সময়ে ছাড়বে না। ঠিক কখন ছাড়বে, সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তরও পাননি তিনি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দুই বাচ্চাকে নিয়ে ভ্রমণের ভোগান্তি কমাতেই ট্রেনে ঢাকা যাওয়ার সিন্ধান্ত নিই। কিন্তু এখানে দেখি বেশি ভোগান্তি! আমি আর ট্রেনে ঢাকা যাবো না। রাতে ঢাকায় নেমে বাসা যাওয়া আমার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।

ভুরুঙ্গামারীর বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ট্রেনের সঠিক সময়ের কথা চিন্তা করে রোববার রাতে কুড়িগ্রাম এসে থেকেছি। ট্রেন দেরিতে আসবে, সেটা ট্রেনের পক্ষ থেকে আগে জানানো হয়নি। সকালে ফেসবুকে দেখলাম। ঢাকায় সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারবো না। সেই ক্ষতিপূরণ তো রেল আমাকে দেবে না।

অপরদিকে, প্রায় ৪ ঘণ্টা দেরিতে কুড়িগ্রাম পৌঁছে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীরা রেলের সেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনের পর থেকে রেলপথ কিছুটা অনুন্নত থাকায় এসি কোচ ছাড়া প্রায় সব বগিতে ধুলো ঢুকে পড়ে। এর ফলে ধুলোমাখা শরীর নিয়ে ট্রেন থেকে নেমেছেন যাত্রীরা।

রেল, নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন, ‘রেল যত ভাড়া বৃদ্ধি করবে, তত সেবার মান কমবে। রেল কখনো ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেবার মান উন্নত করতে পারেনি। মানুষ এখন বিপদে পড়লে ট্রেনে ওঠে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও মধ্যবিত্তদের জন্য একটি সাশ্রয়ী উপায় ছিল রেলে যাতায়াত। সেখানেও এখন অযৌক্তিকভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস এমন সময়ে চালানো হয়, যে সময়ে উত্তরবঙ্গের একাধিক ট্রেন চলাচল করে। এজন্য কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসকে বিভিন্ন জায়গায় থেমে থাকতে হয়। ফলে, শিডিউল বিপর্যয় ঘটে আর ভোগান্তি শিকার হন যাত্রীরা।’

কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শামসুজ্জোহা বলেন, রোববার রাতে ঢাকা থেকে ট্রেনটি বিলম্বে ছাড়ার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাদের হাতে কিছু নেই। ট্রেন আসার পর নির্দিষ্ট বিরতির পর এখান থেকে ট্রেন আবারও ছেড়ে দেওয়া হয়।

সূত্রঃ বার্তা২৪


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।