শিরোনাম

ঈশ্বরদী রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ!


।। রেল নিউজ ।।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। শতবর্ষী এই ফুটওভার ব্রিজের বেশিরভাগ ধাপ ভেঙে গেছে। পাশেই আরেকটি নতুন ব্রিজ নির্মাণকাজ দেড় বছরেও শেষ হয়নি। ফলে পুরাতন ব্রিজ দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার থেকে ফুটওভার ব্রিজে ওঠার সিঁড়ি দিয়ে যাত্রীরা খুব ধীরে ধীরে চলাচল করছেন। সিঁড়ির কংক্রিটের ধাপগুলো ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। ধাপের দিকে তাকালে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকে। অসুস্থ, বয়স্ক এবং শিশুরা সিঁড়ি দিয়ে চলাচল করতে চান না।

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজ। বয়স ১০০ বছর ছুঁই ছুঁই। ১৯২৩ সালে রেলওয়ে যাত্রীদের স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে যাতায়াত এবং শহরের পূর্ব ও পশ্চিম এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। টিকিট সংগ্রহ করে যাত্রীদের এই ব্রিজ দিয়ে প্ল্যাটফর্মে যেতে হয়।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজ

পশ্চিম পাড়ের স্কুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুবির বিশ্বাস বলেন, ‘শহরের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে এ ফুটওভার ব্রিজ। অনেক আগে তৈরি এই ব্রিজের কাঠের পাটাতন, সিঁড়ির ধাপ বহুবার পরিবর্তন হয়ে শেষ পর্যায়ে কংক্রিট করা হয়েছে। এখন ধাপগুলো ভেঙে গেছে। এগুলো পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

যাত্রী মাহফুজুর রহমান শিপন বলেন, ‘সিঁড়ির ধাপগুলো ভেঙে রড বেরিয়ে গেছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে দ্রুত সিঁড়ির ধাপগুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’

ঝুঁকি নিয়েই বসে আছেন ছিন্নমূল মানুষ

ট্রেনযাত্রী মোজাম্মেল বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে ট্রেনে যাতায়াত করি। সিঁড়ির ধাপগুলো ভেঙে যাওয়ায় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটি দেখেও না দেখার ভান করে বসে রয়েছেন। যে কোনো মুহূর্তে সিঁড়ি থেকে পড়ে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।’

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট (এসএস) মহিবুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রিজের সিঁড়ি দিয়ে যাতায়াত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ধাপগুলো দ্রুত পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সেতু প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।’

পাকশী বিভাগীয় রেল সেতু প্রকৌশলী নাজিব কাওছার বলেন, ‘ফুটওভার ব্রিজের সিঁড়ির সমস্যার বিষয়টি আমি জানি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুতই সিঁড়ির ধাপগুলো পরিবর্তন করা হবে। নতুন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণকাজ চলমান। আশা করি আগামী ৪ মাসের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হবে।’

সূত্রঃ ইত্তেফাক/অনলাইন


1 Trackbacks & Pingbacks

  1. Kampala International University

Comments are closed.