শিরোনাম

১৩ জেলার ২০ পয়েন্টে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বেশি

১৩ জেলার ২০ পয়েন্টে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বেশি

নিউজ ডেস্ক: দেশের ১৩ জেলার ২০টি পয়েন্টে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেশি ঘটছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলের চারটি জেলা ও পশ্চিমাঞ্চলের ৯টি জেলা রয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর রেলভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
দিনদিনই ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বাড়ছে এমন তথ্য জানিয়ে ওই সভা থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর বা ঢিল নিক্ষেপ বন্ধের জন্য বর্তমান আইন পরিবর্তন করে শাস্তি ও জরিমানা বৃদ্ধিরও প্রস্তাব করা হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. আবুল কাশেমসহ রেলওয়ে ফ্যান, গণমাধ্যম কর্মী এবং রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বেশি পাথর নিক্ষেপের ওই পয়েন্টগুলো হলো পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী ও সীতাকুণ্ড-বাড়বকুণ্ড এলাকা, ফেনী জেলার ফাজিলপুর-কালীদহ এলাকা, সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ-মাইজগাঁও এলাকা এবং নরসিংদী জেলার নরসিংদী, জিনারদী ও ঘোড়াশাল এলাকা।

পশ্চিমাঞ্চলের পয়েন্টগুলো হলোÑচুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা আউটার স্টেশন, নাটোর জেলার আবদুলপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, সিরাজগঞ্জ জেলার শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশন, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম রেলওয়ে স্টেশন মধ্যবর্তী স্থান, উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, সলপ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, পাবনা জেলার মুলাডুলি রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, ভাঙ্গুরা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, বড়ালব্রিজ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও জেলার কিসমত-রুহিয়া এলাকা, বগুড়া জেলার ভেলুরপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, গাইবান্ধা জেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা এবং খুলনা জেলার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা।

ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে এ পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য ওই সভায় তুলে ধরা হয়। সভায় উপস্থিত রেলওয়ে ফ্যান গ্রুপের পক্ষ থেকে মাহাবুব আলম বলেন, দ্রুত জিডি করা এবং লোকেশন চিহ্নিত করার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সভায় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের পক্ষ থেকে যেসব এলাকায় বেশি পাথর নিক্ষেপ হয় সেসব এলাকায় মাইকিংসহ সচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত একাধিক প্রতিনিধি চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে শাস্তি ও জরিমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব করে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেন, চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রেলওয়ে ও যাত্রীদের জন্য আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় আঘাত পেয়ে নিহত হয়েছিলেন প্রীতি দাশ নামে এক প্রকৌশলী। তিনি তার স্বামীকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন।

এছাড়া গত এক বছরে দেড় শতাধিক পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় রেলওয়ের কর্মকর্তাসহ অন্তত দুই শতাধিক আহত হয়েছিলেন। সম্প্রতি খুলনায় দায়িত্বরত টিআই শিকদার বায়েজিদ দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন।
বর্তমানেও চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এর আগেও ২০১৩ সালে নির্বাচন-পূর্ববর্তী সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেশি ঘটেছিল, যা দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিল। এবারও নির্বাচনের বছরে তেমনটি ঘটলেও এর রহস্য জানা নেই রেলের কর্মকর্তাদের।

সুত্র:শেয়ার বিজ, মে ১৮, ২০১৮


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.