শিরোনাম

ট্রেনের ছাদ থেকে ৩ কিশোরকে ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা, একজনের প্রাণহানি

প্রতীকী ছবি

।। রেল নিউজ ।।
পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ে কিশোরগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম গিয়েছিল তিন কিশোর। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে কিশোরগঞ্জে ফিরছিল তারা। তবে ফেরার পথে বাধে বিপত্তি।

ট্রেনের ছাদে থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না থাকায় দুর্বৃত্তদের দাবি পূরণ করতে পারেনি ওই কিশোররা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একে একে তিনজনকে ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বেঁচে যাওয়া দুই কিশোরের। এ ঘটনায় এক কিশোর নিহত হয়।

গতকাল (সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা এলাকা থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ।

এর আগে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই দুই কিশোরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে তাদের ফেলে দেওয়া হয়।

নিহত ওই কিশোরের নাম আবু সায়েম (১৭)। সে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে। আহতরা হলো- একই গ্রামের সাদ আহমেদ (১৩) ও পলাশ মিয়া (১৬)। হতাহতরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে।

আহত দুই কিশোর জানায়, শনিবার রাতে একটি ট্রেনের ছাদে উঠে চট্টগ্রাম চলে যায় তারা। রোববার বিকেলে তারা চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে ‘সোনার বাংলা’ ট্রেনের ছাদে উঠে পড়ে। ওই সময়ে ট্রেনের ছাদে ওঠে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। ট্রেন চলতে শুরু করলে দুর্বৃত্তদের দুইজন তাদের কাছে এসে টাকা দাবি করে। এ সময় তাদের কাছে কিছু নেই বলে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওই দুর্বৃত্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে লাকসাম রেলওয়ে জংশন পার হয়ে লালমাই উপজেলা অংশে প্রবেশ করলে দুর্বৃত্তরা একে একে তিনজনকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। রোববার রাতে লালমাই উপজেলার আলিশ্বর ও বাগমারা এলাকার মধ্যবর্তী স্থানের পাশাপাশি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে রাতেই লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ায় তাদের হাত ভেঙে যায়। রাতেই ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়। সোমবার বিকেলের দিকে রেলওয়ে পুলিশ বাগমারা এলাকা থেকে আবু সায়েমের মরদেহ উদ্ধার করে।

দুই কিশোর বলে, ভেবেছিলাম সায়েম বেঁচে আছেন। কিন্তু ওই দুর্বৃত্তরা সায়েম ভাইকে মেরেই ফেলল! আমরা খুনিদের বিচার চাই।

লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

সূত্রঃ বাংলানিউজ


2 Trackbacks & Pingbacks

  1. click reference
  2. Go Here

Comments are closed.