নিউজ ডেস্ক: লোকবলের অভাবে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর রেলওয়ে স্টেশন তিন বছর ধরে বন্ধ। ফলে ট্রেনযাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-জামালপুর ভায়া বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেললাইনে জামালপুর এক্সপ্রেস নামে একজোড়া নতুন (উদয়ন ও পাহাড়িকা) আন্তঃনগর ট্রেন চালু করেন। ২৭ জানুয়ারি থেকে তা নিয়মিত চলাচল করছে। ট্রেনটি হেমনগর স্টেশনেও নিয়মিত থামে। এছাড়াও ৩৭ আপ ৩৮ ডাউন বাহাদুরাবাদ এক্সপ্রেস, ২৫৩ আপ ২৫৪ ডাউন ধলেশ্বরী মেইল এবং ৭৫ আপ ৭৬ ডাউন লোকাল ট্রেন থেকেও হেমনগর স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করে।
কিন্তু লোকবল সংকটের অজুহাতে হেমনগর রেলওয়ে স্টেশন তিন বছর ধরে বন্ধ রাখায় যাত্রী সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। হেমনগর গ্রামের বাসিন্দা আতাউল মেতুল জানান, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে নতুন আন্তঃনগর ট্রেনটি চালুর পর স্বল্প সময়ে ঢাকা যাতায়াত সহজতর হওয়ায় হেমনগর স্টেশনে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। কিন্তু স্টাফের অভাবে পুরো স্টেশন এখন অরক্ষিত, অভিভাবকহীন। টিকেট মাস্টার না থাকায় যাত্রীরা এখান থেকে কোটায় অথবা স্ট্যান্ডিং টিকেট সংগ্রহ করতে পারছে না। কেউ কেউ ১০ কিলো দূরে ভূঞাপুর অথবা ১৫ কিলো দূরের সরিষাবাড়ী স্টেশন থেকে টিকেট সংগ্রহ করেন। কিন্তু ওঠানামা করেন এ স্টেশন থেকেই। লোকজন না থাকায় সন্ধ্যার পর স্টেশনে ভূতুড়ে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। নেশাখোরদের আড্ডা বসে। দেখভালের কেউ না থাকায় স্টেশনের সহায়-সম্পত্তি দিন দিন বেহাত হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার মাসুম খান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হেমনগর রেল স্টেশনে তিন জন মাস্টার, তিন জন কোয়ান্টার্সম্যান, তিন জন বুকিং ক্লার্ক এবং এক জন চতুর্থ শ্রেণির পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি। লোকবলের অভাবে স্টেশনটি টানা তিন বছর ধরে বন্ধ। সমস্যার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সুত্র:ইত্তেফাক, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০