।। নিউজ ডেস্ক ।।
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল। শুক্রবার (৬ মে) রেলওয়ে জোনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার ৩ যাত্রীর কাছ থেকে টিকিট বাজেয়াপ্ত করেন। তবে, ওই যাত্রীরা বেশি দামে টিকিট কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছেন। ফলে, রেলের কাউন্টার থেকে টিকিট কেনা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘রোববার ২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’ ওই কমিটির প্রধান ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার গৌতম কুমার কুন্ডু এবং সদস্য সিগন্যাল ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ ইসতিয়াক জহুর।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে জাতীয় পরিচয়ের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হয়।
অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘টিকিট কিনতে কার পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখব। তারপর কে টিকিটগুলো কিনেছে তাকে শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি সিসিটিভি ফুটেজগুলো পরীক্ষা করে দেখবে। এই কমিটি কালোবাজারিদের চক্র চিহ্নিত করতে অন্যান্য পদ্ধতিও ব্যবহার করবে।’
‘কালোবাজারিদের চিহ্নিত করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য সরবরাহ করব,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রেলের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত থাকলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ শুক্রবার সিল্ক সিটি এক্সপ্রেসে ঢাকা যাওয়ার সময় ৩ যাত্রী ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, তারা বিক্রিত মুল্যের চেয়ে বেশি দামে টিকিট কিনেছেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্যের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে কেনা টিকিটে ভ্রমণ করা অপরাধ। একইসঙ্গে কালোবাজারিদের সঙ্গে যোগসাজশের জন্য এই ৩ যাত্রীকে দোষারোপ করেছে রেলওয়ে।
সূত্রঃ দ্য ডেইলি স্টার