শিরোনাম

আগামী জুলাইয়ে চালু হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ

কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন

।। রেল নিউজ ।।
২০২৪ সালে প্রকল্পের সময়সীমা থাকলেও, এক বছর আগেই চালু হবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। এরইমধ্যে ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মন্ত্রী ও প্রকল্প পরিচালক বলছেন, আগামী বছরের জুলাই নাগাদ চলাচলের উপযোগী হবে এ রেলপথ।

ট্রেন চালু হলে পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়নে পাল্টে যাবে এ জনপদের জীবন যাত্রা। কক্সবাজার এলাকায় নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম আইকনিক রেল স্টেশন। ২৯ একর জমির ওপর ঝিনুকের আদলে নির্মিত হচ্ছে এই রেল স্টেশন। যার কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। যাতে থাকবে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাই।

এই স্টেশনের মতোই দ্রুত এগিয়ে চলছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের কাজ। এরমধ্যে শেষ হয়েছে ৭৫ ভাগ। প্রকল্পটির সময়সীমা ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত হলেও প্রকল্প পরিচালকের দাবি, আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে এই রেলপথ।
দোহাজারি-ঘুমধুম রেল প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মুফিজুর রহমান জানান, মূল কাজগুলো জুন-জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর টুকটাক কাজ বাকি থাকবে যা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। আমরা আশাবাদী ২০২৩ এর মধ্যেই পুরো কাজ শেষ হবে যদিও আমাদের সময়সীমা আছে ২০২৪ পর্যন্ত।
একই কথা বলছেন রেলপথমন্ত্রীও। সম্প্রতি নির্মানাধীন রেলপথ ঘুরে তার আশা, কোনও সংকটই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না এই রুটে ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বর্তমান কোচগুলোতে ছোট জানালা কিন্তু এখানের কোচে বড় জানালা থাকবে যাতে সবাই ভালভাবে প্রকৃতি দেখতে পারে। এছাড়াও স্লিপিং ও এসি কামড়ার পরিমাণ বেশি থাকবে।

স্থানীয়রাও মুখিয়ে আছেন এই রেলপথ চালুর জন্য। তাদের আশা, রেলপথটি চালু হলে পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি মৎস্য, বনজ ও কৃষিজ পণ্য পরিবহনও সহজ হবে।

স্থানীয়রা বলেন, কৃষি ও বাণিজ্যিক সকল ক্ষেত্রেই কক্সবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।

১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের এই কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। যাতে ছোটবড় ২৬২টি সেতু, ৯৬টি লেভেল ক্রসিং ও নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া বন এলাকায় হাতি চলাচলের জন্য থাকছে আন্ডারপাস।

সূত্রঃ চ্যানেলটোয়েন্টিফোর


Comments are closed.