নিউজ ডেস্ক:পার্বতীপুরসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী আন্ত নগর, মেইল, লোকাল ও ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে কর্তৃপক্ষ গত ২৬ মার্চ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে। তবে খাদ্য ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চালু রয়েছে। এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশে নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অবৈধভাবে যাত্রী ভ্রমণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে বিটিও এমটি ৯৮২ নম্বর ডাউন জ্বালানি তেলবাহী খালি ট্রেন (২৫/৫০এমটি) পার্বতীপুর ছেড়ে জয়দেবপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশে চলে যায়। ওই গাড়িতে গার্ডব্রেকে রেলের স্টাফসহ কমপক্ষে ৪০ ব্যক্তি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভ্রমণ করে। এ সময় মো. সুমন নামের একজন অতিরিক্ত পরিচালক ওই ট্রেনে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নেমে যান। পরে গাড়ির দায়িত্বরত পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান মুকুল, অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজুর রহমান ও মো. সুমনের বদলি পরিচালক মো. ফিরোজ গাড়িতে করে যান।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়ে অতিরিক্ত পরিচালক মো. সুমনের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে দায়িত্বরত পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান মুকুল অবৈধ যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর গাড়িতে লোকোমোটিভ মাস্টারের (এলএম) দুজন গেস্টসহ ১৬ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে তিনজন ছিলেন স্কট (আরএনবি স্টাফ), তিনজন গার্ড ও দুজন টিএক্সআর স্টাফ। তিনি আরো বলেন, ‘কন্ট্রোল অর্ডার, অফিস আদেশে আমি গাড়ি নিয়ে এসেছি। গাড়িটি সোমবার সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে জয়দেবপুর রেলস্টেনে গিয়ে পৌঁছে। এরপর পৃথক সেট ওই গাড়িটি নিয়ে চট্টগ্রামে চলে যায়।’
এ ব্যাপারে রেলস্টেশন মাস্টারের অফিস জানায়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পার্বতীপুর লোকোশেডে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী লোকো-ইনচার্জ কাফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্টাফ যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তেলবাহী ওয়াগনের গাড়ি আসে চট্টগ্রাম থেকে। গাড়ির গন্তব্যস্থল পার্বতীপুর হয়ে রংপুর। তা ছাড়া পার্বতীপুর ও তেজগাঁও রেলস্টেশনের মধ্যে খাদ্যবাহী ট্রেনে দায়িত্ব পালন করে থাকে আমাদের স্টাফরা। তাদের দায়িত্ব পালন করার কথা জয়দেবপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত। কিন্তু করোনার কারণে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে জরুরি খাদ্য পরিবহনের জন্য খাদ্যবাহী ট্রেনের স্টাফদের তেজগাঁও পর্যন্ত যাতায়াত করতে হচ্ছে।’
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, পার্বতীপুরের প্রধান পরিদর্শক মো. এমদাদুল হক জানান, মালবাহী, জরুরি খাদ্যবাহী এবং জ্বালানি তেল ও খালি গাড়িতে তাঁদের তিনজন করে আরএনবি স্টাফ ডিউটি পালন করে থাকেন। অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহন সম্পর্কে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি বলে উল্লেখ করেন।
সুত্র:কালের কন্ঠ, ১৭ এপ্রিল, ২০২০