শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে রেল ধর্মঘট ঠেকাতে বিলে স্বাক্ষর করলেন বাইডেন


।। আন্তর্জাতিক ।।
দেশজুড়ে রেল ধর্মঘট ঠেকাতে শুক্রবার বিশেষ এক আইনে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এটি না হলে আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিল দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। সেটি কার্যকরী হলে মার্কিন অর্থনীতি বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে পারত।

রেলকর্মীরা দাবি করছেন, অসুস্থ থাকাকালে তাদের ছুটি ও বেতন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তারা ৫ হাজার ডলার ভাতাও দাবি করেছে। তবে কোম্পানিগুলো তা বাস্তবায়নে অস্বীকার করেছে। গত সেপ্টেম্বরে বাইডেন প্রশাসন শ্রমিকদের সাথে এ ব্যাপারে একটি চুক্তি করে। তবে ১২টি শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে চারটি এ চুক্তি মানতে অস্বীকৃতি জানায়। তারাই পরবর্তী সময়ে আবার ধর্মঘটের হুমকি দেয়।
এ অবস্থায় শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সাথে একটি অস্থায়ী চুক্তি করতে মার্কিন সিনেট গত বৃহস্পতিবার একটি বিল আনে। তাতে পক্ষে ৮০টি এবং বিপক্ষে ১৫টি ভোট পড়ে। এতে শ্রমিকদের সাত দিনের অসুস্থতাজনিত ছুটির বিষয়টি পাস না হলেও কর্মীদের ২৪ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি এবং পাঁচ হাজার ডলার বোনাসের পাশাপাশি আরেক দিন বেশি ছুটির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পরে বাইডেন সেই আইনে সই করেন। তিনি শ্রমিকদের জন্য এ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বাইডেন বলেন, আমার মতে, শুধু রেলকর্মীদের জন্য নয়, আমেরিকার প্রতিটি শ্রমিকের জন্য সবেতন অসুস্থতার ছুটি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।

আটটি ইউনিয়ন এই চুক্তি অনুমোদন করলেও কিছু শ্রমিক নেতা বাইডেনের সমালোচনা করে বলেন, বাইডেন নিজেকে শ্রমিকদের বন্ধু বলে দাবি করেন, অথচ শ্রমিকদের বেতনসহ অসুস্থতাজনিত ছুটির অনুমোদন করাতে পারেননি। এর আগে বাইডেনের উপদেষ্টারা তাকে জানান, ধর্মঘট হলে প্রায় ৭ লাখ ৬৫ হাজার শ্রমিক দুই সপ্তাহের জন্য কর্মবিরতিতে চলে যাবে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনবে। শ্রমিক ইউনিয়নের কাছে কার্যকরী কোনো সমাধানে আসা না গেলে ধর্মঘট শুরু হলে দেশটির ৭ লাখ ৬৫ হাজার কর্মী দুই সপ্তাহের কর্মবিরতিতে চলে যাবে। ফলে সাত হাজার মালবাহী ট্রেন থেমে যাবে। এতে প্রতিদিন গড়ে ২০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হবে।

এছাড়া ধর্মঘট হলে দেশের অনেক স্থানে খাবার পানির সঙ্কট দেখা দিতে পারে। এমনকি বিভিন্ন পশুর খামারেও ঠিকমতো খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি এ ধর্মঘটের কারণে লাখ লাখ শ্রমিকদের পরিবারও হুমকির মুখে পড়বে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের রেল কর্তৃপক্ষ খরচ কমাতে ও মুনাফা বাড়াতে বিভিন্ন দিকে খরচ কমিয়েছে। এ অবস্থায় শ্রমিকরা অস্থায়ী কর্মীদের অসুস্থতাজনিত ছুটির দাবি করলে রেল কর্তৃপক্ষ এর তীব্র বিরোধিতা করে।


Comments are closed.