ছাতক রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখনো বৈশাখী ভাতা পায়নি। এ বিভাগে সকল অঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাতা পেয়ে গেছেন। ছাতক রেলওয়ের (এ ই এন) নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান নিয়মিত অফিস না করার কারনে এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভাতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
করোনা ভাইরাসের সময়ে অফিস বন্ধ থাকলে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে কর্মকর্তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন।
কিন্তু ছাতক উপজেলায় ৯ জন কর্মকর্তা এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে কর্মস্থলে নেই। এর মধ্যে রেলওেয়ের নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান ও ফোরম্যান (ইলেক) মাহবুবুল আলম রয়েছেন। তারা সবসময়ই অফিস ফাকি দিয়ে শুধুমাত্র সরকারি বেতন-ভাতা ভোগ করছেন।
এ নিয়ে ছাতক রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন পর শনিবার অফিসে আসেন মুজিবুর রহমান। এ সময় তার স্বাক্ষরের কারনে বৈশাখী ভাতার বিল পাশ না হওয়ায় এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষোভ ঝাড়ছেন তার প্রতি৷
জানা গেছে মাসের পর মাস কর্মস্থলে না এসেই বেতন-ভাতা সহ বিভিন্ন প্রকার ভ্রমণ ভাতা নিচ্ছেন, এ ই এন মুজিবুর রহমান। গত ১০ মার্চ তাকে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী করা হয়েছে।
তিনি কর্মস্থলে এসেছেন ১৯ মার্চ। যোগদান দেখিয়েছেন ১২ মার্চ। এরপর তিনি গত শনিবার কর্মস্থলে এসে তোপের মুখে পড়েন। ছাতকে তার নামে একটি বাসা বরাদ্দও রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। কিন্তু এখানে বসবাস করেননি তিনি। রেলওয়ের এক অফিস সহকারী ও এক ওয়েল্ডার তার জরুরী বিষয়গুলো দেখ-ভাল করছেন।
রেলওয়ের ডিজিসেট অপারেটর আব্দুল কাদিরও কর্মস্থলে নেই। রেলওয়ের দু’জন কর্মকর্তা মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত বলে জানিয়েছেন ছাতক রেলওয়ে ও স্লীপার কারখানার একাধিক শ্রমিক।
এ ব্যাপারে ছাতক রেলওয়ের প্রধান সহকারী সুরঞ্জন পুরকায়স্থ দীর্ঘদিন পর এ ই এন মুজিবুর রহমান শনিবার কর্মস্থলে এসেছিলেন স্বীকার করে জানান, এতে করে তাদের ভাতা প্রাপ্তির বিষয়টিও বিলম্ব হচ্ছে।
উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) (বি আর-কার্য) আব্দুল নূর জানান, এ ই এন কর্মস্থলে না থাকায় তারা বৈশাখী ভাতা পাননি।
তিনি গত মাসের ১৯ তারিখ এসেছিলেন আর গত শনিবার অফিসে এসেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ ই এন সিলেট শহরেই বসবাস করছেন।
সুত্র:এখন সিলেট.কম, ২০ এপ্রিল ২০২০