শিরোনাম

ভোগান্তিতে উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রীরা

উপকূল এক্সপ্রেস

।। রেল নিউজ ।।
নোয়াখালীর আন্তঃনগর ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের যাত্রীরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ট্রেনের মধ্যে প্রতিটি বগিতে টিকেটবিহীন যাত্রী, হকার, ভিক্ষুক, হিজড়াদের অসহনীয় যন্ত্রণায় দুর্বিষহ হয়ে উঠছে রেলওয়ের যাত্রা। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে না পৌঁছানোর অভিযোগও রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নোয়াখালী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১৬টি রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি নেয়। তবে পথিমধ্যে ট্রেনের গতি কমিয়ে যাত্রী উঠানামা করা হয়।

জানা গেছে, এ রেলপথে এমনিতেই যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড় থাকে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের যাত্রীরা সড়কের পরিবর্তে রেলপথকে অধিক নিরাপদ মনে করে। উপকূল এক্সপ্রেসে আসন স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন শতশত যাত্রী দাঁড়িয়ে পথ অতিক্রম করছে।

এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটে দ্রুতগামী অত্যাধুনিক ট্রেন চালু করলেও নোয়াখালী রুটে যাত্রীদের অত্যধিক চাহিদাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। একমাত্র উপকূল এক্সপ্রেসে সব সময় যাত্রীদের চাপ লেগেই থাকে। এ সমস্যা দূরীকরণে নোয়াখালী-ঢাকা রুটে আরও একটি ট্রেন বৃদ্ধি করা গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। সকালে ও বিকেলে নোয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে দুইটি ট্রেন থাকলে নোয়াখালীবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রহিম জানান, নোয়াখালী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন আন্তঃনগর হলেও পথে পথে অনেক স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়। আর নাথের পেটুয়া, কুমিল্লার লাকসাম, কসবা, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ, নরসিংদী, টঙ্গী, বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেন পৌঁছালে সেখানে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ থাকে।

নোয়াখালীর চৌমুহনীর বাসিন্দা ও যাত্রী মির্জা মহিউদ্দিন ফারুক জানান, আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ১৬টি বগিতে ১৬ জন অ্যাটেন্ডস থাকার কথা থাকলেও মাত্র তিনজন অ্যাটেন্ডস দিয়ে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করছে।

নোয়াখালী রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (এনআরডিএস) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আবদুল আউয়াল বলেন, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস বলা হলেও নোয়াখালী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১৬টি রেল স্টেশনে যাত্রাবিরতি, রেল ক্রসিং এবং পথিমধ্যে ট্রেনের গতি কমিয়ে অর্থ দিয়ে যাত্রী উঠানামা করানো হয়।

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও রেলওয়ে মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম বলেন, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অচিরেই নোয়াখালীবাসীর জন্য একটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন দেয়া হবে।

নোয়াখালীর উপকূলীয় যাত্রীদের জন্য ১৯৯৬ সালে ঢাকা-নোয়াখালী গামী যাত্রীদের জন্য উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করা হয়। ঢাকা-নোয়াখালীর ২৬৫ কিলোমিটার রেলপথে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ১৬টি বগি চালু থাকলেও কোনো এসি বার্থ (কেবিন) নেই।

সূত্রঃ সময়নিউজ


1 Trackbacks & Pingbacks

  1. บริการรับจด อย

Comments are closed.