নিউজ ডেস্ক: দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ধুপিপাড়ায় রেলের একটি পুকুর অবৈধ বসবাসকারীদের কারণে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ক্রমে এটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
পুকুরের পশ্চিম দিকে বসবাসকারীরা আশির দশকে দিনাজপুরমুখী রেললাইনের পাশের এক বস্তিতে থাকত। বস্তিটি উঠিয়ে সেখানে একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা করা হয়। অন্যদিকে উচ্ছেদ করা বস্তিবাসীদের ধুপিপাড়া রেলের পুকুরের পশ্চিম পাশের স্বাধীনতার আগের সুইপার বস্তিতে স্থানান্তর করা হয়। পরে সুইপার বস্তিটির নামকরণ হয় ফকিরটোলা।
অভিযোগ রয়েছে, নতুন বস্তি গড়ে তোলা হলেও কোনো রকম নাগরিক সুবিধা পায়নি এখানকার লোকজন। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য চার-পাঁচটি ডাস্টবিনের প্রয়োজন হলেও একটিও তৈরি হয়নি। এ কারণে বস্তির প্রায় সব পরিবার প্রতিদিন ঘরদোর ঝাড়ু দিয়ে সব ময়লা পাশের পুকুরে ফেলে। আবার প্রতিটি পরিবারের খোলা পায়খানা থেকে মল ও ময়লা পানি সরাসরি পুকুরে পড়ে। এতে পানি বিষাক্ত হয়ে মাছের মড়ক দেখা দেয় প্রায় প্রতি মাসে।
বস্তির কিছু অসৎ পরিবার, ব্যক্তি পুকুরের লিজগ্রহীতার স্বার্থের ব্যাপারে বরাবর উদাসীন থাকে। তারা বস্তায় বস্তায় আবর্জনা ও ময়লা এনে পুকুরের ধারে ফেলে। পরে শুকনো মৌসুমে বালু, মাটি এনে ভরাট করে নিজেদের ঘরদোরের সীমানা বাড়ায়। এ নিয়ে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে লিজগ্রহীতা আবদুল কাদির রেলের পাকশী বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে পাকা ঘর ও ল্যাট্রিন নির্মাণে বাধা দেওয়ায় ২০১৭ সালে লিজগ্রহীতার ছেলে রাইসুল ইসলামকে চাকু ও ছুরি দিয়ে ৯টি স্থানে আঘাত করা হয়। এ নিয়ে নয়ন (২২) ও জীবন (২৭) দুই ভাইকে আসামি করে মামলা করা হয়।
জানতে চাইলে রেলের পার্বতীপুর কাছারির কানুনগো মো. জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘আমি সব কিছু জানি। যারা রেলের ভূমিতে অবৈধভাবে বসবাস করছে তারাই লিজ দেওয়া পুকুর অবৈধভাবে ভরাট করে বাড়িঘর তৈরি করছে, বাড়ির সীমানা বৃদ্ধি করে নিচ্ছে।’
রেল থানার পরিদর্শক মো. এমদাদুল হক রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়েরের পরার্মশ দেন।
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, লিজগ্রহীতা তাঁর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
সূত্র:কালের কন্ঠ, ২ জুন, ২০২০