হাবিবুর রহমান বাদল:
নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের দুই পাশ দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান ও কাঁচাবাজার। এসব দোকান ও বাজার চলে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। অবৈধ দোকান ও বাজার নিয়ন্ত্রণ বা উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বরং অভিযোগ রয়েছে, এখান থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে এলাকার প্রভাবশালীরা। আর এদের সহায়তা করছে পুলিশ। রেললাইনের দুপাশে কাঁচাবাজারের পাশাপাশি ফলের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে ওঠায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় এক ব্যক্তি।
রেললাইনের দুপাশ দখল করে গড়ে ওঠা এসব দোকান ও বাজারের কারণে পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রেলওয়ের এ জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত্ ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, নগরীর এক নম্বর গেট এলাকার ফলপট্টির মোড় থেকে শুরু করে চাষাঢ়া স্টেশন পর্যন্ত রেললাইনের উভয় পাশে রেলের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বহু দোকান। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রেললাইনে বসানো হয়েছে কাঁচাবাজার। রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঁচাবাজার ও আশপাশের দোকান থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলা হয়। পুলিশ ও রেলের লোকজন এই চাঁদার ভাগ নেয়। রেললাইনের পাশে বেড়ার তৈরি প্রতিটি দোকান ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। ভাসমান সবজি ব্যবসায়ী ও ফুটপাতে থাকা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জনপ্রতি প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইচ্ছা করলেই যে কেউ দোকান নিয়ে বসতে পারেন। এর জন্য স্থানীয় পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীদের দৈনিক মাসোহারা দিতে হয়। এসব বাজার ও দোকান অপসারণে কঠিন কোনো নীতিমালা না থাকার কারণে কোনো পদক্ষেপই সফল হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযান চালালেও আবার পরদিন অবৈধ দোকানিরা বসে যান।
সূত্র:ইত্তেফাক, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২০