।। রেল নিউজ ।।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন প্রকল্পটির অ্যাডমিন কর্মকর্তা নাদিম মাহমুদ মোসলেম। তিনি আভিযোগে বলেছেন, ‘এ প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে আর্থিক দুর্নীতিও।’
এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনের থার্ড ও ফোর্থ লাইনের নির্মাণ কাজ চলছে। দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এর কাজ করছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
“তাদের নির্মাণ কাজে যে ধরনের ইকুইপমেন্টস, মেশিন, ম্যাটেরিয়ালস, টুলস ব্যবহার করার কথা সে ধরনের ব্যবহার করছে না। তাদের যথেষ্ট সেইফটির অভাব, ইট, বালু, রড, সিমেন্ট ব্যবহার করছে খুব নিম্নমানের।”
প্রজেক্ট কাজে ব্যাপক অনিয়ম, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও অর্থ দুর্নীতিতে-কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ডও ব্যবহার করেন নাদিম।
জানতে চাইলে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া জানান- তিনি বিষয়টি শুনেছেন।
‘ওই ব্যক্তি প্রজেক্টের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। ওই কর্মীর সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে’- বলেন প্রকল্প পরিচালক।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় প্রকল্প অফিসে ‘এডমিন’ পরিচয়ধারী নাদিম মাহমুদ মোসলেম নামে একজন মাস চারেক আগে অফিসের কাজ দেখভালের জন্য ছিল। কয়েকদিন আগে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ‘স্ক্র্যাপ মালামাল চুরির’ কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাকে বের করে দেয় বলেও দাবি করেন তারা।
কেয়া বলেন, “আমি আমার অফিসের সংশ্লিষ্টদের ও কনসালটেন্টদের রিকোয়েস্ট করেছি ছেলেটা যে দাবি করছে তা ঠিক কিনা; এরকম চুরির কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা; তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে ঠিক কিনা। অবশ্যই এসব চেক করে দেখব।”
প্রকল্প পরিচালকের ভাষ্য, নির্মাণ সামগ্রীর যথাযথ মান নিশ্চিত করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, “আমার অফিসে এ নিয়ে স্পেসিফিক কোনো অভিযোগ কেউ দেয় নি। না ওই ভদ্রলোক করেছেন, না অন্য কেউ।”