শিরোনাম

সাহসী শিপন থামিয়ে দিল চট্টলা এক্সপ্রেস


।। রেল নিউজ ।।
সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনকে রক্ষা করতে এক বাড়ি থেকে লাল কাপড় এনে রেললাইনে টানিয়ে দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক যুবক। আর এই লাল কাপড় দেখে ধেয়ে আসা ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেসের ড্রাইভার ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় যাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ছোটহরণ এলাকায় ৩৯ নম্বর রেল সেতুর কাছে।

রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকের ঘটনা। তখন ঢাকাগামী চলন্ত তিতাস কমিউটার ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যায় এক ব্যক্তি। দেখতে পেয়ে ছুটে যান শিপন। জানতে চান কিভাবে ছিটকে পড়লেন। সেসময় ওই ব্যক্তি জানান ট্রেনটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিলে ট্রেনের দরজা থেকে পড়ে যাই। বিষয়টি সন্দেহ হলে রেললাইনের স্লিপারের দিকে তাকান শিপন। এই সময় তিনি দেখতে পান রেললাইন অনেকটা বেঁকে গেছে। পরে জানতে পারেন তীব্র গরমেই এই ঘটনা ঘটে।

এটা জানার পর শিপন পরবর্তীতে আসা ট্রেনগুলোকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে রেললাইনের পাশে এক বাড়ি থেকে লাল কাপড় সংগ্রহ করেন। সে কাপড়ের সাথে দুইটি গাছের ডাল দিয়ে একজনকে সাথে নিয়ে রেল লাইনের উপর দাঁড়ান। এ সময় ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস বিপদ সংকেত বুঝতে পেরে থেমে যায়।

শিপনের এই সাহসিকতা নিয়ে নানা মহলে আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে শিপনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যখন দেখতে পাই রেল-লাইন বেঁকে গেছে। তখন ট্রেন দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে তাৎক্ষনিকভাবে এই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার চিন্তা করি। সেসময় একটি বাড়ি থেকে লাল কাপড় এনে দিয়ে রেল লাইনের উপর দাঁড়িয়ে যাই।

পরে রেলওয়ের কর্মীরা রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করে। মেরামতের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আপলাইনে ট্রেন চলাচল দুই ঘণ্টা বন্ধ করে দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার সাকির জাহান জানান, অতিরিক্ত গরমের জন্য রেললাইন বেঁকে গিয়েছিল। দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আপলাইন ঠিক করা হয়। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।


Comments are closed.