গভীর সমুদ্রের নীচে ১৫০ বছরের পুরনো রেল ইঞ্জিন! (ছবি ও ক্যাপশন)- TOPICS:Underwater Train Graveyardগভীর সমুদ্রনিউ জার্সি ট্রান্সপোর্টেশন মিউজিয়ামপুরনো রেল ইঞ্জিন Posted By: RAILNEWSBD October 17, 2022 Tweet ২০১৩ সাল। নিউ জার্সির গভীর সমুদ্রে নামলেন পল হেপলার। তিনি পেশায় ডুবুরি। ম্যাগনেটোমিটার নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতা মাপতেই নেমেছিলেন পল। ম্যাগনেটোমিটারের সিগনালে বদল আসায় পল বুঝতে পারেন জলের গভীরে ধাতব কোনও বস্তু রয়েছে যা আয়তনেও বিশাল। রহস্য সমাধানে আরও গভীরে নামলেন পল। সমুদ্রের ৯০ ফুট (২৭ মিটার) গভীরে খুঁজে পেলেন দুটো লোকোমোটিভ স্টিম ইঞ্জিন। কিন্তু সমুদ্রের তলায় তো কোনও রেললাইন নেই! তা হলে এই ইঞ্জিন দু’টি এখানে এল কী করে? নিউ জার্সির লং ব্রাঞ্চ উপকূল থেকে আট কিলোমিটার দূরে এই রেল ইঞ্জিন দু’টি পাওয়া গিয়েছিল। পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে জানা যায়, ইঞ্জিন দু’টি প্রায় ১৬০ বছরের পুরনো। ইতিহাসের পাতায় এই বিষয়ে কোনও তথ্য থাকতে পারে ভেবে ইতিহাসবিদেরা খোঁজ নেন। কিন্তু পাওয়া গেল না কিছুই। লোকোমোটিভের যে মডেলটি পাওয়া গিয়েছিল, সেটি খুব সহজলভ্যও ছিল না। ক্লাস ২-২-২-টি মডেলের এই লোকোমোটিভটি খুব কম সময়ের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। সাধারণত স্টিম ইঞ্জিনের ওজন ৩১,৭৫১ কেজি। সেই তুলনায় এর ওজন খুবই কম। দেখা যায়, এর ওজন মাত্র ১৩,৬০৭ কেজি। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, এই ইঞ্জিনগুলি জাহাজে করে বস্টন থেকে মধ্য আটলান্টিকের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁদের অনুমান, ইঞ্জিনগুলি নিয়ে যাওয়ার পথে জাহাজটি ঝড়ের সম্মুখীন হয়। এর ফলে, ইঞ্জিনদু’টি জলের গভীরে তলিয়ে যায়। তবে ইতিহাসবিদরাই বলছেন, এই অনুমান সঠিক না হতেও পারে। হয়তো সমুদ্রের মাঝে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এই ইঞ্জিনদু’টি। নিউ জার্সি ট্রান্সপোর্টেশন মিউজিয়ামের তরফে এই দু’টি রেল ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হয়েছে। Related posts:নতুন রেল সংযোগে ব্যয় ২ হাজার কোটি টাকাঈদযাত্রার শেষের দিন বিশেষ সার্ভিস, চলবে শতাধিক ট্রেনচরম কর্মব্যস্ততায় সময় কাটছে পাহাড়তলী রেলওয়ে ওয়ার্কশপকমলাপুরে ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণ, আটক ৫বাংলাদেশে ইলেকট্রিক ট্রেন সার্ভিসকরোনার ধাক্কা সামলে রেলের আয় বেড়েছে ২৬ শতাংশশায়েস্তাগঞ্জে সাড়া ফেলছে বঙ্গবন্ধু রেল জাদুঘরএক যুগ পর চালু হচ্ছে রামসাগর এক্সপ্রেস, চলাচল করবে পঞ্চগড় পর্যন্তTweet