ফখরে আলম:
আজ বৃহস্পতিবার থেকে খুলনা-কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ যশোরে থামবে। এ ব্যাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যশোরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০টি আসন। খুলনা থেকে ছেড়ে এসে দুপুরে বন্ধন তিন মিনিট যশোর রেলওয়ে স্টেশনে থামবে। এরপর যাত্রী তুলে কলকাতার দিকে যাত্রা শুরু করবে। সপ্তাহে এক দিন বৃহস্পতিবার বন্ধন চলাচল করবে। ভবিষ্যতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা থেকে কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন ট্রেনটি চালু হয়। ৫০০ টাকা ভ্রমণ করসহ ভাড়া নির্ধারণ করা হয় দেড় হাজার ও দুই হাজার টাকা। কিন্তু ভাড়া বেশি আর খুলনা থেকে ভারতে গমনেচ্ছু পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ায় বন্ধনে আশানুরূপ যাত্রী হয়নি। এদিকে যশোরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ওই ট্রেনটির যশোরে স্টপেজ দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে যশোর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। বাংলাদেশ অংশের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে। এ জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর ভারতীয় অংশে এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে কলকাতার চিতপুর রেলওয়ে স্টেশনে।
কলকাতা থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় বন্ধন ছাড়বে, যশোরে এসে পৌঁছাবে সাড়ে ১১টায়। এরপর খুলনায় পৌঁছাবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। ফের এই ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে খুলনা থেকে দুপুর দেড়টায় যাত্রা শুরু করে যশোরে পৌঁছাবে আড়াইটায়। আর কলকাতায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
যশোর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তী জানান, ৬ মার্চ দুপুর পর্যন্ত ভারতে যাওয়ার জন্য ৩০টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। ট্রেনটি চলাচলের জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম ট্রেনের টিকিট ক্রয়কারী যাত্রী রবীন্দ্রনাথ সড়কের ব্যবসায়ী মাহাবুব উদ্দিন বলেন, মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে আমরা কলকাতা পৌঁছাতে পারব। এটা খুবই আনন্দের কথা। তবে টিকিটের দাম কিছুটা কম হলে ভালো হয়।
যশোর বিভাগ আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে যশোর-কলকাতার মধ্যে ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসছি। যশোর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে, তাতে দুই দেশের সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। কিন্তু সপ্তাহে একটির বদলে কমপক্ষে দুটি ট্রেন চালু করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ভাড়াও কমানো দরকার।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভাড়া কমানোর বিষয়টি আমরা ভাবছি।’
সুত্র:কালের কন্ঠ, ৭ মার্চ, ২০১৯