শিরোনাম

ভাঙ্গুড়ায় রেলের জমিতে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার


।। রেল নিউজ ।।
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রেলের খাল ভরাট করে নির্মিত অবৈধ ভবনে স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করা হয়েছে।

শহরের সরকারি হাসপাতালের সামনে নিউ বড়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের সেবাকেন্দ্রটির মালিক স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক নান্নু। অনুমোদন ছাড়াই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি চালু করায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানমসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শহরের শরত্নগর বাজারেও ব্যবসায়ী আব্দুল মালেকের আরেকটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়মবহির্ভূতভাবে চলছে বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া বাজারের সরকারি হাসপাতালের সামনে রেলের খাল ভরাট করে অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য গোলাম মোস্তফা। সেই ভবন ভাড়া নিয়ে নিউ বড়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করেছেন আব্দুল মালেক। তিনি পাঁচ মাস আগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও এখনো অনুমোদন পাননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, জায়গার মালিকানা ও ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ছাড়পত্রসহ সব কাগজপত্র জমা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করতে হবে। তারপরে অনুমোদন পেলে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করা যাবে। বড়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার রেলের জায়গাতে নির্মিত হওয়ায় রেল মন্ত্রণালয়েরও অনুমতি লাগবে।

এদিকে ভাঙ্গুড়া পৌরসভার উপপ্রকৌশলী খোরশেদ আলম বলেন, ভাঙ্গুড়ায় রেলের জমিতে নির্মিত পাকা ভবন অনুমোদন দিতে পারে না পৌরসভা। কারণ রেলের জমিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণ নিষেধ। তাই এই ভবন অবৈধ।

এ বিষয়ে ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক আব্দুল মালিক বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা পরিদর্শন না করায় এখনো অনুমোদন পাইনি। তাই আবেদনের রসিদ দিয়েই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি চালু করেছি। ’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম বলেন, ‘নিউ বড়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তাই নিঃসন্দেহে প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধেও সম্প্রতি একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এর পরেও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু রাখলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’ এ সময় তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক নান্নুর আরেকটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র নিয়েও ঝামেলা আছে।

পাবনা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা সম্পূর্ণ অবৈধ। দ্রুত অভিযান চালিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ’

সূত্রঃ কালেরকন্ঠ


3 Trackbacks & Pingbacks

  1. KS Kurve
  2. modesta coating
  3. find out here

Comments are closed.