নিউজ ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় থেকে সরাসরি ঢাকায় ট্রেন চলাচল। তবে স্থানীয়দের দাবি, ট্রেন চালুর প্রত্যাশা পূরণ হলেও আসন সংখ্যার বরাদ্দ অপ্রতুল। তাছাড়া এখান থেকে ট্রেনে পণ্য পরিবহনেরও কোনো ব্যবস্থা থাকছে না। ফলে এ নিয়ে তাদের অসন্তোষ থেকেই যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনের তথ্যমতে, ১০ নভেম্বর থেকে দ্রুতযান ও একতা এক্সপ্রেস নামে দিনে ও রাতে দুটি ট্রেন চলাচল করবে। এর মধ্যে সকাল ৮টায় ছেড়ে যাবে দ্রুতযান। আর একতা এক্সপ্রেস ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। বড় রেলস্টেশন থেকে দুটি ট্রেনে যাত্রীরা সব মিলিয়ে আসন পাচ্ছেন ১৫৮টি। এছাড়া পীরগঞ্জ ও রুহিয়া স্টেশন কাউন্টারে দুটি ট্রেনের জন্য বরাদ্দ ৬৬টি শোভন চেয়ার। তবে এসব ট্রেনে পণ্য পরিবহনের কোনো ব্যবস্থা থাকছে না।
স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় ১৬ লাখ মানুষের বসবাস। এ বিপুল জনসংখ্যার বিপরীতে দুটি ট্রেনে তারা মোট আসন পাচ্ছেন ২২৪টি, যা অপ্রতুল। কথা হলে জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ, মনতোষ কুমার দে, ফজলে ইমাম বুলবুল, মাসুদ আহম্মেদ সুবর্ণ, কাদিমুল ইসলাম যাদুসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আসন সংখ্যা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাছাড়া কৃষিভিত্তিক জেলা হলেও এখান থেকে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা থাকছে না। আমাদের দাবি, ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের আগেই আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হোক। তাহলে এ জেলার মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে।
রোড রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি ট্রেন দুটি চলাচল শুরু হলে জেলার মানুষের ভোগান্তি কমবে। ট্রেন চালুর পর চাহিদা বাড়লে আমরা আসন বৃদ্ধির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের বিষয়ে এখনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি রয়েছে।
সুত্র:বণিক বার্তা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮