শিরোনাম

রেলে রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত হলে দুর্ঘটনা কমবে

রেলে রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত হলে দুর্ঘটনা কমবে

নিউজ ডেস্ক: দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে রেলপথ। মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে বড় দুটি দুর্ঘটনাই এর প্রমাণ। এমন অবস্থায় রেলওয়ের সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, রেলে দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে রেলপথ ও ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণে যত্নবান হতে হবে। অর্থাৎ এ বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। এজন্য লোকবল প্রশিক্ষণ দেয়াসহ শূন্য পদ পূরণ করা জরুরি। রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।

রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক মো. আবু তাহের (ডিজি) বলেন, রেলে একের পর এক দুর্ঘটনা খুবই দুঃজনক। যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে হবে। রেলে যেসব অবৈধ লেভেল ক্রসিং আছে তা উচ্ছেদ কিংবা যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে পুনর্নির্মাণ করতে হবে। ওইসব স্থানে প্রহরীর অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার রেলের উন্নয়নে অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পগুলো সমাপ্ত হলে রেলে আমূল পরিবর্তন আসবে। রেলে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে রক্ষণাবেক্ষণে। এটা নিশ্চিত হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।’

রেলের আরেক সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুক্তিযোদ্ধা মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রেলপথ সব সময় নিরাপদ। এ পথকে নিরাপদই রাখতে হবে। সাধারণ মানুষদের মধ্যে এ পথ নিয়ে যে আশা-ভরসা রয়েছে তা ধরে রাখতে হবে। আমি মনে করি, রেলে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু এসব উন্নয়ন টেকসই করতে রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০টি ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেলপথ কোন নিয়মে রক্ষণাবেক্ষণ হবে- তার কৌশল বের করতে হবে। ট্রেন দাঁড় করিয়ে তো রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব নয়। ম্যানুয়াল পদ্ধতি নয়- বিশেষ আধুনিক পদ্ধতিতে অল্প সময়ের মধ্যে লাইন মেরামত করার মেশিন আনতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন পদে, বিশেষ করে মাঠপর্যায়ে লোকবল বাড়াতে হবে। প্রতিটি সেকশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে দুর্ঘটনা একেবারেই কমে আসবে।’

রেলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আবদুল হাই বলেন, ‘রেলপথ ও রেল সেতুগুলো সর্বদা রক্ষণাবেক্ষণের মধ্যে রাখতে হবে। ইঞ্জিন ও কোচগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করলে দুর্ঘটনা ঘটার কথা নয়। কিছু দুর্ঘটনা রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের জন্য হয় না; অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য ঘটছে। এসব অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ করতে হবে। ট্রেন চালক ও গার্ডদের সতর্কাবস্থায় থাকতে হবে। চালক যদি ঘুমিয়েও পড়ে তাহলে গার্ড খুব সহজেই হোস পাইপ দ্বারা ট্রেন নিয়ন্ত্রণ কিংবা দাঁড় করাতে পারে।’

তিনি বলেন, সিগন্যাল ব্যবস্থা আরও আধুনিকায়ন করা জরুরি। আর যারা ট্রেন চলাচলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

সুত্র:যুগান্তর, ১৫ নভেম্বর ২০১৯,


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.