পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগে জনবল সংকটের কারণে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ পদ্ধতিতে ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। শিডিউল বিপর্যয় নিত্যদিনের ঘটনা। নির্ধারিত সময়ের ২-৫ ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। পাশাপাশি রেলপথের পরিধি বৃদ্ধি না করেই নতুন নতুন ট্রেন চালু এবং পুরোনো লাইনের সংস্কারকাজ না করায় বারবার ঘটছে ট্রেন দুর্ঘটনা।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জনবল সংকটের কারণে ৪৪টি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। স্টেশন বন্ধ থাকায় এই বিভাগে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ পদ্ধতিতে ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ পদ্ধতি হলো একটি ট্রেন যখন স্টেশন ত্যাগ করে তখন ট্রেনটি পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছানো না পর্যন্ত ঐ লাইন দিয়ে আর কোনো ট্রেন চালানো সম্ভব হয় না। ফলে বন্ধ স্টেশন অতিক্রম করার জন্য রেললাইন অবরোধ করে রাখা হয়। পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন পৌঁছালে রেললাইন অবমুক্ত করা হয়। এই পদ্ধতিতে ট্রেন পরিচালিত হওয়ায় ট্রেনের সময়সূচির বারবার বিপর্যয় ঘটছে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেনগুলো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে না পারায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাকশী বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই অচলাবস্থা। স্টেশনমাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের পদ শূন্য থাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগে মোট ১১৩টি অপারেটিং স্টেশন রয়েছে। অবসরজনিত কারণে পর্যায়ক্রমে এসব স্টেশনের মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের পদ শূন্য হওয়ায় ৪৪টি স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ৬৯টি স্টেশন চালু রয়েছে। এসব স্টেশনে চুক্তিভিত্তিক স্টেশনমাস্টার ছিল ৪৫ জন। বিগত মার্চে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ ভূঁইয়া জানান, রেলওয়ের অর্গানোগ্রামে নতুন জনবল নিয়োগে সমস্যা রয়েছে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও বর্তমানে নিষেধ রয়েছে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা আবারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য আবেদন জানাব।
সুত্র:ইত্তেফাক, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯