হরলাল ভৌমিক:
নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় যাত্রীরা। বিশেষ করে বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনী স্টেশনে টিকেট সংখ্যা কম বরাদ্দ থাকায় যাত্রীরা টিকেটের জন্য বিভিন্ন স্থানে ধর্না দিতে হয়। ট্রেনের অভ্যন্তরেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
স্থানীয় যাত্রী মির্জা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিজাম উদ্দিন মিশু, নূর হোসেন জেহাদসহ অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন, টিকেটের বিড়ম্বনা ছাড়াও ট্রেন আন্তঃনগর হলেও পথে পথে অনেক স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, আশুগঞ্জ, আখাউড়া, কসবা, কুমিল্লা, লাকসামে ট্রেন পৌঁছামাত্র সেখানকার অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপে। তাছাড়া, ট্রেনের অভ্যন্তরে অপরিষ্কার, সিটগুলোও ছেড়া-ফাটা, টয়লেটেও পর্যাপ্ত পানি থাকে না।
এ ব্যাপারে চৌমুহনী রেলস্টেশনে দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার মীর আসাদুজ্জামান বলেন, ‘চৌমুহনী নোয়াখালী জেলার বাণিজ্যিক শহর। এখানে দৈনিক এক হাজারের মত যাত্রী রয়েছে। অথচ চৌমুহনী স্টেশনের জন্য উপকূল এক্সপ্রেসের বগি সংখ্যা ১৩, সর্বসাকুল্যে বরাদ্দকৃত সিট সংখ্যা ১১৭। নিরুপায় হয়ে যাত্রীরা সিটবিহীন টিকেট কিনতে বাধ্য হন। বর্তমানে সড়ক পথে যানজট ছাড়াও দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা ট্রেন পথকে বেছে নিয়েছে। যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে হলে বগি বাড়ানোর পাশাপাশি চৌমুহনীর জন্য সিট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। অপরদিকে রাত ৯টা ২০ মিনিটে চৌমুহনী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীদের জন্য মাত্র দুইটি বগি রয়েছে। তার একটি বগির অনেক জায়গা পুলিশের চলাচলে নির্ধারিত থাকে। উক্ত ট্রেনে যদি আরো কয়েকটি বগি যাত্রীদের জন্য বাড়ানো হয়, তাহলে যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হবে।’
সুত্র: ইত্তেফাক, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯