।। নিউজ ডেস্ক ।।
আগামী জুনে উদ্বোধন করা হবে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। ঢাকা-পদ্মা সেতু-যশোর-ঢাকা রুটে চলাচল করবে ট্রেন। এ রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৩ কিলোমিটার হবে পুরোপুরি এলিভেটেড (উড়াল)। এর রুটের থাকবে না কোন লেভেল ক্রসিং। এতে সময় বাঁচবে, ঘটবে না অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাও। দেশে এই প্রথম উড়াল ও লেভেল ক্রসিংবিহীন প্রথম রেলপথ হতে চলেছে। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। জুনে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ পর্যন্ত পুরো অংশের মোট কাজের অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ শতাংশ। তবে ভাঙ্গা থেকে ঢাকা অংশের অগ্রগতি ৮৮। এ পথের দূরত্ব ৮২ কিলোমিটার। এরই মধ্যে ৩৫ কিলোমিটার পথে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। হাতে এখনো ছয় মাস। এ মেয়াদেই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হবে। তবে, আগামী জুনে কোনো যাত্রী চড়তে পারবে না। ট্রায়ালরান হিসেবে পদ্মা সেতু হয়ে যাত্রী ছাড়াই চলাচল করলে রেল। বাংলাদেশ রেলওয়ে এ কাজের জন্য অনেক দক্ষ। ফলে কয়েক মাস ট্রায়াল রানের জন্য চলবে। এর পরেই যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (ওয়ে অ্যান্ড ওয়ার্ক) আবু ইউসুফ মোহাম্মদ শামীম বলেন, প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ করা হবে। আমরা দুটি ভাগে বিভক্ত করে প্রকল্পটি উদ্বোধন করবো। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথে ২০২৩ সালের জুনে ট্রায়াল রান শুরু হবে। এ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আশাকরি, এ অংশটুকু চালু করতে পারবো কাজের অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ। যাত্রী নিয়ে রেলপথে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই জন্যই কিছু সময় ট্রায়াল রানের জন্য চলবে।’
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে চায়না ঋণ ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ এবং সরকারি অর্থায়ন ১৮ হাজার ২১০ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৪ সালের জুন মাসে সব কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পের আওতায় চীন থেকে ১০০টি নতুন ব্রডগেজ কোচ আনা হবে। এসব কোচ দিয়ে পদ্মা সেতুর রেললাইনের ওপর ট্রেন চলবে। প্রথম ধাপে ১৫টি কোচ এসেছে। বাকি কোচগুলো ধাপে ধাপে আসবে।
সূত্রঃ জাগো নিউজ