শিরোনাম

আসামে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঠেকাতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর


।। আন্তর্জাতিক ।।
ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলের আসামে ট্রেনের ধাক্কায় একের পর এক হাতির মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঠেকাতে তাই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

এখন থেকে হাই এন্ড টেকনোলজি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্তা।

প্রায় দিনই ভারতের উত্তরবঙ্গের (পশ্চিমবঙ্গ) মত আসামেও ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। গত কয়েকদিনে আসামে ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত তিনটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ( ১৭ তারিখ) যোরহাট জেলার মারিয়ানি এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় একটি হাতির। সেখানের টিটাবার এলাকার দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায় হাতিটি।

জানা যায়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ট্রেনের ধাক্কায় আসামে মারা গিয়েছে অন্তত ৮টি হাতি। এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বন্যপ্রাণপ্রেমীরাও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৯৯০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আসামে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ১১৫টি হাতির। সবচেয়ে বেশি হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে কামপুর, হজাই, ঢিপু, মারিয়ানি নামক এলাকায়।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা সব্যসাচী দে জানান, হাতির চলাচলের রাস্তায় ট্রেনের গতিবেগ কমানো হয়েছে। ওই লাইনে ট্রেন চালানোর সময় সতর্ক থাকেন চালকরাও।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাতির করিডরে ট্রেনের গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। রেললাইনে হাতি দেখলেই ব্রেক লাগান চালক। কিন্তু, চালক ‘এমারজেন্সি ব্রেক’ লাগানোর পরও ট্রেন কিছুটা এগিয়ে যায়। আগেও হাতির মৃত্যু ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এদিকে, ওই বৈঠকের পরে আসামের মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানান, ওই লাইনে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু নিয়েও তাদের আলোচনা হয়েছে। হাতিকে বাঁচাতে ওই এলাকায় ট্রেন লাইনে উচ্চ ক্ষমতা যুক্ত টেকনোলজি ব্যবহার করার জন্য তিনি আবেদন করেছেন রেলের জেনারেল ম্যানেজারকেও।


Comments are closed.