‘ফাও খেতে চাও ফাও, ওয়াসার কাছে যাও, পানির সাথে পাবে গোবরি পোকার ছাও।’ কথাগুলো কবি শামসুর রাহমানের কবিতা থেকে নেওয়া। সরকারি মাল মানেই ফাও, সরকারি মাল মানেই তার মূল্য নাই, সরকারি মাল মানেই মানহীন, সরকারি মাল মানেই রক্ষণাবেক্ষণের লোক নাই। কিন্তু ফাও খাওয়ার জন্য কাড়াকাড়ি। যেমন বিভিন্ন জেলার আন্তঃনগর ট্রেনে টিকেটের যাত্রীর চেয়ে দ্বিগুণ যাত্রী টিকেটবিহীন। আবার টিকেট কাটতে গেলেও টিকেট পাওয়া যায়, ট্রেনের সিটও খালি যাচ্ছে, সেখানে অনেকে ফাও যাচ্ছে, মানে সিট খালি! এ সুযোগে ট্রেনের একশ্রেণির কর্মচারী যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।
এবার আসা যাক অন্য প্রসঙ্গে। বিভিন্ন রেলস্টেশনে অনেক বগি, ইঞ্জিন, রেললাইন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর। মালগাড়ি বা কার্ভাড বগি পড়ে আছে যত্রতত্র। অনেকদিন পড়ে থাকায় জং ধরেছে তাতে। মাদকসেবীরাও পাচ্ছে তাতে নিরাপদ আশ্রয়। অনেক বগি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এভাবে নষ্ট হচ্ছে দেশের সম্পদ। দেখার কি কেউ নাই? কোটি কোটি টাকার এসব সম্পত্তি রিইউজ করা গেলে সাশ্রয় হতো রেল খাতের অথবা নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হলে সরকারের রাজস্ব আসত। সরকারি গাড়ি, বাস বিভিন্ন বাসস্টেশনে পড়ে থাকতে দেখা যায়, সেগুলোতে ধুলো-ময়লার আস্তরণ পড়ে গেছে। অকেজো হয়ে থাকলে তা নিলামে তোলা হোক, তাতে অনন্ত ‘সরকারকা মাল দরিয়ামে ঢাল’ অবস্থা হবে না।
শাহজাহান আলী মূসা
ইউনির্ভাসিটি অব সাউথ এশিয়া,বনানী, ঢাকা