|| নিউজ ডেস্ক ||
টঙ্গী-কমলাপুর ৩য় এবং ৪র্থ লাইন। রেল উন্নয়নে একটি বিপ্লব নির্ভর করছে এর বাস্তবায়নে। এখন দুটি লাইনে (আপ এন্ড ডাউন) বেধে যায় মারাত্মক জট। রাইট টাইমে টঙ্গী এসেও এক ঘন্টা লেট হয় কমলাপুর পৌঁছাতে। কমলাপুর থেকে বের হতেও তাই। আর এক ট্রেনের জন্য দেখবেন আপনার ট্রেন টাইম মত ছাড়তে পারল না।
এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা বিমান বন্দর ষ্টেশন। চার লেন, সাথে লুপ লাইন। নতুন অত্যাধুনিক ষ্টেশন ভবন। এক সময় এয়ারপোর্ট থেকে আন্ডারপাস এসে মিলবে এই স্টেশনে। কিন্তু সম্প্রসারণে রেলের জায়গা নেই এক ইঞ্চি। রাস্তা একটাই। দুই নাম্বার প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন পূর্ব পাশে বিরাট পুকুরটি। কিন্তু এই পুকুরের মালিকানা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের। এই পুকুর ভরাট করে স্টেশন সম্প্রসারণ ছাড়া আর কোন পথ নেই রেলের। নাহলে, সবকিছু ক্লোজ। অথচ বিমানবন্দর রেল স্টেশন হবে রেলের ভবিষ্যৎ হাব।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সাথে রেলের অনেক বৈঠক, চিঠি চালাচালি হয়েছে কিন্তু ফয়সালা হয়নি এখনো কিছুই। ওদিকে টঙ্গীতে এই প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে। এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান, চেয়ারম্যান, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলাম। স্যার সাথে সাথে ধরলেন। পরিচয় দিয়ে পুরো বিষয়টির গুরুত্ব বুঝালাম। প্রায় পনের মিনিট কথা হল। অত্যন্ত ভাল এবং সজ্জন একজন মানুষ তিনি।
স্যারের কাছে তিনটি বাক্য বারবার বলেছি। এই পুকুর রেলকে দিতেই হবে, এর কোন বিকল্প নেই। কিভাবে কবে দেবেন, সেটাই সিদ্ধান্ত নেবেন স্যার। আর একটি কথা বলেছি স্যারকে, যদি প্রয়োজন হয়, তবে পনের দিনের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতি এনে দেয়া যাবে। তিনি আশ্বাস দিলেন, জরুরিভাবে বিষয়টি ফয়সালা করবেন। আলহামদুলিল্লাহ। স্যারকে বলেছি, আমি কিন্তু বারবার আপনাকে বিরক্ত করব এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত।
একটি বিষয় মারাত্মকভাবে ঘুরপাক খাচ্ছে। কোন সমাধান আসছে না। কমলাপুর টঙ্গী চার লেনের রেল যোগাযোগ শুরু হলে ট্রেন চলাচলের ফ্রিকুয়েন্সি অনেক বেড়ে যাবে স্বাভাবিকভাবেই। তখন উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেল গেট খুলে দেয়ার সুযোগ প্রায় থাকবেনা বললেই চলে।
রেলগেট উঠতে না উঠতেই আবার পড়ে যাবে। মারাত্মকভাবে ব্যহত হবে ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রা। আবার কমলাপুরের বিকল্পও নেই। বিশ্বের অন্য দেশ হলে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল দিয়ে এই অংশ পার করে দিত। আমাদের সে সুযোগ আছে কিনা জানিনা। তবে নিশ্চিত ভয়াবহ অবস্থা হবে চার লেন চালু হলে।
অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন, বারবার ভেঙ্গে যায়। রেলের সবার কাছে অনুরোধ, আমাকে কাজে লাগাবেন প্লিজ। যেখানে অচলাবস্থা, জট, বাধা, সেখানেই আমি আছি ইনশাআল্লাহ। কল্যাণ আসবেই ইনশাআল্লাহ।
— রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহববু কবির মিলনের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত।