সাখাওয়াত স্বপন :
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেন কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ইঞ্জিন পরীক্ষার নামে যাত্রী হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানান কুড়িগ্রাম একপ্রেসের এক জন যাত্রী।তিনি জানান, ভোর ৪.১৫ মিনিটে প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে পার্বতীপুর জংশনে পৌঁছায়। পার্বতীপুর জংশনে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন রেখে একটি বিকল পুরাতন ইঞ্জিন পরীক্ষার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের সাথে যুক্ত করে দেয়। ধীরে ধীরে ট্রেনটি রংপুর স্টেশন হয়ে এখন কাউনিয়া স্টেশনে এসে থেমে যায়।
মুননেফা তৃপ্তি নামের প্রথম শ্রেণির এক যাত্রী বলেন “এভাবে চলতে থাকলে রেলের প্রতি যাত্রীদের আগ্রহ যেমন কমে যাবে তেমনি এই খাতে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি এবং আয়ও কমে যাবে। কুড়িগ্রামের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব আন্তরিক কিন্তু সরকারের কিছু বিকৃতমনা মানুষের জন্য আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাই না। যার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে আজকের এই ঘটনা।একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে কেন পরীক্ষামূলক ইঞ্জিন জুড়ে দেয়া হবে? সকাল ৬.৫০ টার আগে এই ট্রেনটি কুড়িগ্রামে পৌছার কথা থাকলেও সকাল ৯.০০ টার পরও আমাদের কাউনিয়া বসে থাকতে হচ্ছে”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রেনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা বলেন কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার আমরা।
এখন ঘরমুখো মানুষ গুলো অপেক্ষার প্রহর গুনছে ট্রেনে বসে। তবে এভাবে চলতে থাকলে রেলের প্রতি যাত্রীদের আগ্রহ যেমন কমতে থাকবে ।