শিরোনাম

নরসিংদী রেল স্টেশনে রাতে মাদকের আসর


।। রেল নিউজ ।।
নরসিংদী রেল স্টেশন এলাকা এখন মাদকের আখড়া। এতে স্টেশনের পথশিশু থেকে শুরু করে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। রাত নামলে আঁধারে তাদের আনাগোনা শুরু হয়। তিন থেকে ছয় জনের একটি গ্রুপ স্টেশনের রেলের পাতে ও অন্ধকারের মধ্যে নেশার আসর বসায়। মদ, গাঁজা, ড্যান্ডিসহ নানা মাদক সেবন ও অসামাজিক কাজ চলছে সেখানে।

নরসিংদী শহরতলীর তরোয়া মাজারের পিছনের রেল লাইন থেকে শুরু করে স্টেশন বটতলা, নরসিংদী স্টেশন ও আশিনগর র্দীঘ দেড় কিলোমিটার রেল লাইনের পাশে মাদক হাতে বিভিন্ন বয়েসের মানুষের দেখা মেলে।

কালাম আহামেদ ও রাব্বানী মিয়া নামে দুইজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রাতে স্টেশনের আশপাশে মাদকসেবীদের মেলা বসে। কয়েকজন মিলে দল তৈরি করে রেলের পাতে বসে এবং নানা নেশা করে। বিশেষ করে, তরোয়া রেল লাইন থেকে শুরু করে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত তাদের দৌরাত্ম্য। স্টেশনের পাশের বস্তির কিছু উঠতি পথশিশুরাও যুক্ত হয়। রাতে ভয়ে এখান দিয়ে মানুষ চলাচল করতে ভয় পায়। গেলে নোংরা ভাষায় কথা বলে। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতে নরসিংদী থেকে বিমানবন্দর স্টেশনে যাবেন আল মুজাহিদ তুষার। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যাচ্ছি মামার সঙ্গে দেখা করতে। স্টেশনে সন্ধ্যায় চলে আসলাম। ট্রেন ছাড়তে আর ঘণ্টা খানেক লাগবে। হাঁটতে হাঁটতে স্টেশনের শেষ প্রান্তের দিকে যেতে চোখে পড়ল ছোট-ছোট বাচ্চারা সিগারেটের ভিতর কী সব ডুকিয়ে খাচ্ছে। পাশে কিছু যুবক বসে তারাও বোতলে তরল জাতীয় কিছু খাচ্ছে।’

শিশুদের নিয়ে কাজ করেন ও নরসিংদী বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মো. লিটন খন্দকার বলেন, নরসিংদী স্টেশন ও তরোয়াসহ আশপাশ এলাকায় নেশার সঙ্গে কিছু পথশিশু ও বস্তির যুবকরা জড়িতে পড়ছে। এটা মোটেও ভালো বিষয় না। পথশিশুগুলোর স্থায়ী ঠিকানা নেই, তাই অনেকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে তাদের হাতে মাদক ধরিয়ে দেয়। ভয়ংকর সব মাদক তাদের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। পাশাপাশি সঠিক শিক্ষার অভাবও রয়েছে। দ্রতই তাদের মাদকের ছোবল থেকে সরিয়ে আনা প্রয়োজন।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইর্নচাজ ইমাদুল জাহেদী বলেন, ‘প্রতিদিন স্টেশনে ডিউটি দেই। কারো মাদক সেবনের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। আমাদের কেউ অভিযোগ দেয়নি।’

নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারে মোছা বলেন, ‘মাঝে মধ্যে মানুষের মুখে শুনি কিছু বখাটে স্টেশন থেকে দূরে বসে মাদক সেবন করে। আমি সেটা জানামাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই। সবসময় সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে স্টেশনকে সুরক্ষিত রাখার। আমি প্রতি দিন সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’

সূত্রঃ রাইজিংবিডি


2 Trackbacks & Pingbacks

  1. her comment is here
  2. aksara178

Comments are closed.