শিরোনাম

মোংলা বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মালামাল

মোংলা বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় 'এমভি উহিয়ান হোপ' জাহাজটি

।। নিউজ ডেস্ক ।।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পের যন্ত্রাংশের প্রথম চালান নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে পণ্যবোঝাই দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী ‘এমভি উহিয়ান হোপ’ নামে একটি বিদেশি জাহাজ ।

শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে পণ্য খালাসের জন্য মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটি এলাকায় এসে নোঙ্গর করে এই বিদেশি জাহাজটি। এসময় বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জাহাজটির সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বিদেশি বাণিজ্যিক এ জাহাজটি রেল সেতুর পণ্য নিয়ে গত ২৫ জুলাই ভিয়েতনামের হাইফং বন্দর থেকে ছেড়ে আসে। যা বাংলাদেশের মোংলা সমুদ্র বন্দরে পৌঁছাতে ১২ দিন সময় লেগেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাহাজটি খালাস করতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে।

বন্দরের হারবার বিভাগ জানায়, বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পণ্য খালাসের জন্য প্রথম চালানের যন্ত্রাংশ নিয়ে জাহাজ এসেছে মোংলা বন্দরে। ভিয়েতনামের হাইফং বন্দর থেকে গত ২৫ জুলাই ছেড়ে আসা জাহাজটি ১২দিন পর শনিবার দুপুরে সাগর মোহনা ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় পৌঁছায়। প্রথম চালানের এ জাহাজে ২৬৭টি প্যাকেজের ২৩৫০ মেট্রিক টন মেশিনারি পণ্য রয়েছে। যা ভিয়েতনামের ‘আই এইচ আই ইনফ্রাসট্রাকচার এশিয়া লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করেছে।

বন্দরের নিজস্ব পাইলটের মাধ্যমে জাহাজটি বিকাল ৫টার দিকে এসে পণ্য খালাসের জন্য বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভেড়ে। দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী ১৩১. ৯০ মিটারের জাহাজটির গভীরতা ৬.৯ মিটার। বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নতুন নির্মাণ প্রকল্পের যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে আসা এটি প্রথম জাহাজ।

এর আগে ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ এসেছে এবং চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালামাল খালাস করা হয়েছে।
স্থানীয় শিপিং এজেন্ট, হক অ্যান্ড সন্স কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ক্যাপ্টেন মো. জিয়াউল হক বলেন, মোংলা বন্দরে জাহাজের জট নাই এবং এখানে পণ্য খালাস করতে জাপানের প্রতিনিধিরা আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই প্রথম বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পণ্য নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী ‘এমভি উহইওন হোপ’ নামে বাণিজ্যিক এ জাহাজটি মোংলা বন্দরে আনা হয়েছে। প্রতি মাসে একটি করে জাহাজ আসবে; যা মোংলা বন্দর দিয়েই খালাস করা হবে বলে জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, জাহাজটিতে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর দুই হাজার ৩৫০ মে. টন পণ্য রয়েছে। শনিবার রাত থেকে খালাস কার্যক্রম শুরু করা হবে। পণ্য খালাসের পর নদীপথে নিয়ে সংযুক্ত করা হবে নতুন নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে।

প্রসঙ্গত, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ রেল সেতু। মোট ৫০টি পিলারের ওপর গড়ে উঠবে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের এই সেতু। ২০২০ সালে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজ ২০২৫ সালে ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যার সর্ব শেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১কোটি টাকা।


Comments are closed.