।। নিউজ ডেস্ক ।।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’র যাত্রা ১ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে। ওই দিন গোপালগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাদুঘরের যাত্রা শুরু হবে। একটি মিটারগেজ ও একটি ব্রডগেজ বিশেষ কোচে নির্মিত অত্যাধুনিক জাদুঘর দুটি দেশের ৩৫টি রেল স্টেশনে প্রদর্শিত হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে কোনো স্টেশনে একদিন আবার কোনো স্টেশনে পাঁচ দিন পর্যন্ত অবস্থান করবে বিশেষ জাদুঘর দুটি।
জাদুঘর দুটিতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এবং থিম সংসহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান-কবিতা প্রচার করা হবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জাদুঘর দুটিতে ১২টি টেবিলে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক নিবাসের প্রতিরূপ, তার ব্যবহৃত চশমা, পাইপ, মুজিব কোট, টুঙ্গিপাড়ার সমাধিস্থলসহ ১৩টি করে ঐতিহাসিক অনুকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্মৃতিসৌধসহ মুক্তি সংগ্রামের দুর্লভ চিত্রগুলো।
ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর দুটি কোন কোন স্টেশন যাবে ও কত দিন অবস্থান করবে : ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের গোপালগঞ্জ স্টেশনে ১ থেকে ৫ আগস্ট, কাশিয়ানিতে ৬-৭, ভাটিয়াপাড়াঘাটে ৯-১০, মধুখালী জংশনে ১২-১৩, রাজবাড়ীতে ১৫-১৭, ফরিদপুরে ১৯-২০, পাংশায় ২২-২৩, কুমারখালীতে ২৫-২৬, কুমারখালী জংশনে ২৮ থেকে ২৯, কুষ্টিয়ায় ৩০-৩১ আগস্ট পর্যন্ত অবস্থান করবে।
ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম স্টেশনে ১-৫ আগস্ট, ভাটিয়ারীতে ৫-৭, সীতাকুণ্ডে ৭-৯, চিনকিআস্তানায় ৯-১১, ফেনী জংশনে ১১-১৫, গুণবতীতে ১৪-১৭, নাঙ্গলকোটে ১৬-১৯, লাকসামে ১৮-২৩, চৌমুহনীতে ২১-২৫, মাইজদীকোর্টে ২৩-২৭, নেয়াখালীতে ২৫-২৯, লাকসামে ২৯ আগস্ট, চাঁদপুরে ২৯ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর, লাকসাম জংশনে ১ সেপ্টেম্বর, কুমিল্লায় ২ থেকে ৪, আখাউড়ায় ৫-৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮-১০, ভৈরববাজারে ১০-১২, নরসিংদীতে ১২-১৪, টঙ্গীতে ১৪-১৬, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ১৬-১৮, কমলাপুরে ১৮-২২, ফতুল্লায় ২২-২৩, চাষাঢ়ায় ২৩-২৫ ও নারায়ণগঞ্জে ২৫-৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবে।
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর দুটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে তিনি বলেছিলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও অজানা তথ্য পৌঁছে দিতে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর ইতিহাস হয়ে থাকবে। অসাধারণ ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর নির্মাণ করায় তিনি রেলপথ বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সূত্রঃ যুগান্তর