কয়েক সপ্তাহ আগেও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ছিলো যাচ্ছেতাই। রেল লাইনের ওপর ময়লা, অপরিষ্কার স্টেশন চত্বর আর ভাসমান মানুষদের আবাসস্থল ছিলো সেখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। সেই স্টেশন এখন চোখ ধাঁধানো পরিষ্কার-পরিপাটি, বদলে গেছে পুরোপুরি।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রেলস্টেশন ও ট্রেনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরুর নির্দেশনা আসার পর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে সবকটি স্টেশনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। উচ্ছেদ করা হয় ভাসমান দোকান ও মানুষদের।
শুধু স্টেশন চত্বর নয়, পূর্বাঞ্চলের প্রত্যেকটি আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেনেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। ট্রেনের দরজা, হাতল, সিট, ওয়াশরুমসহ মানুষের স্পর্শ লাগা প্রতিটি জায়গায় জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোল স্টেশনে হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটারে পরীক্ষা করা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা।
চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী তাহমিদা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগের স্টেশন আর বর্তমান স্টেশনের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। ময়লা-আবর্জনা ও উৎকট গন্ধে যে স্টেশনে বসে থাকা দায় ছিলো, সেই স্টেশন এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। দেখতে বিদেশের কোনো স্টেশনের মতো লাগছে। এছাড়া ট্রেনের ভেতরের পরিবেশও বেশ চমৎকার।
রফিকুল ইসলাম নামে আরেক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, এরকম যেন সারাবছরই থাকে। এভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে যেকোনো রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিনই দুবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন চত্বর পরিষ্কার রাখছি। ট্রেনে যাত্রী ওঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করিয়ে নিচ্ছি। পাশাপাশি সচেতনতামূলক বিভিন্ন বাণীও প্রচার করছি মাইকে, লিফলেট বিতরণ করে।
সুত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম , ২০২০-০৩-২২