শিরোনাম

খুলনায় ঈদ স্পেশাল ট্রেন মাত্র একদিন

খুলনায় ঈদ স্পেশাল ট্রেন মাত্র একদিন

নিউজ ডেস্ক:
ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে খুলনা রুটে এবার মাত্র একদিন চলবে ঈদ স্পেশাল ট্রেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ খুলনা অঞ্চলের ট্রেন যাত্রীরা। তবে খুলনা-ঢাকা রুটের দুটি ট্রেনসহ তিনটি ট্রেনে বগি বাড়বে। এদিকে সৈয়দপুরে ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকেট। ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর:

খুলনা: আগামী ৩ জুন রাত ১২টা ২০মিনিটে ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে একটি স্পেশাল ট্রেন ছেড়ে আসবে। ট্রেনটি পরদিন সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে খুলনা রেল স্টেশনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ওইদিন ১০ বগির এই ট্রেনটি কোনো যাত্রী ছাড়াই ঢাকায় ফিরে যাবে।

স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, এই ট্রেন ছাড়া খুলনা-ঢাকা রুটে আর কোনো স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে না। বৃহস্পতিবার থেকে খুলনা-ঢাকা রুটের চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনটি বগি যোগ হয়েছে। এই অতিরিক্ত বগি থাকবে ঈদের পর সাতদিন পর্যন্ত। প্রতিটি বগিতে আসন সংখ্যা ১০৫টি। শুক্রবার থেকে ঈদের পর সাতদিন পর্যন্ত সংযুক্ত থাকবে আরো দুটি অতিরিক্ত বগি। এছাড়া খুলনা-রাজশাহী রুটের কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের পর সাতদিন পর্যন্ত সংযুক্ত হয়েছে একটি অতিরিক্ত বগি। তিনি আরো জানান, এবার টিকেট কালোবাজারি রোধে কড়া নজরদারি রয়েছে। পাকশি থেকে আসা রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ টিকিট বিক্রিতে তদারকি করছেন।

এদিকে খুলনা থেকে ঢাকা ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটের ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকেট বিক্রি গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম দিন বিক্রি করা হয়েছে ৭ জুনের টিকেট। বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৮ জুনের টিকেট। প্রত্যেক যাত্রী অগ্রিম টিকেট কিনতে পারছেন চারটি করে। রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকেই অসংখ্য যাত্রী ভিড় করে আছেন টিকেট কাউন্টারের সামনে। কেউ কেউ গিয়ে লাইনে দাঁড়ান ভোরেই। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট পাওয়ার পর খুব খুশি হন যাত্রীরা। তবে খুলনা থেকে ঢাকা ও রাজশাহী ছাড়া অন্য রুটগুলোর অগ্রিম টিকিটের প্রতি যাত্রীদের তেমন আগ্রহ নেই। আবার টিকেট শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকে ফিরেছেন খালি হাতে।

সৈয়দপুর (নীলফামারী): সৈয়দপুরে ট্রেনের টিকেট সোনার হরিণ হয়ে গেছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে দুই সারিতে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৯টা বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে টিকেট কাউন্টার খুলে টিকিট দিতে প্রস্তুতি নেন তিনি (বুকিং সহকারী)। কিন্তু শুরুতেই ঘটে বিপত্তি। ইন্টারনেট সমস্যার কারণে কম্পিউটার কাজ করছিল না। ফলে টিকেটও দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। প্রায় ২০/২৫ মিনিট পর টিকেট দেওয়া শুরু হয়। এর ঠিক ঘণ্টাখানেক পরেই কাউন্টারে লাইনে থাকা লোকজনকে বলা হয়, চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের বরাদ্দ সব টিকিটই শেষ।

শহরের ক্যান্টনমেন্ট এলাকার লাইলী বেগম বলেন, তার মেয়ে এবারে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। কোচিং করতে যাবে ঢাকা। তাই টিকেটের জন্য সেহরির পর থেকে এসে স্টেশনে কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু কয়েকজনকে টিকিট দেওয়ার পর কাউন্টার থেকে বলা হয়, বরাদ্দ আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনের টিকিট শেষ। এভাবে অনেককে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে টিকেটের জন্য।

বুকিং সহকারী মাহবুবুল ইসলাম মাহবুব জানান, কাউন্টারে অনলাইনে কম্পিউটার থেকে একটি টিকেট বের করতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড। সেই হিসেবে এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ই বরাদ্দ সব টিকেটই দেওয়া সম্ভব। সৈয়দপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. শওকত আলী বলেন, সব ঈদে এ স্টেশনে টিকেটের অনেক চাহিদা থাকে। বিশেষ করে আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনের টিকেটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু এ স্টেশনে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের আসন বরাদ্দ যাত্রীসাধারণের তুলনায় অনেক কম। ফলে যাত্রীদের চাহিদামতো টিকেট সরবরাহ দেওয়া সম্ভব হয় না। ঈদের আগে নীলসাগর ট্রেনে দুই একটি অতিরিক্ত বগি সংযুক্ত করলেই অনেক যাত্রীর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার অবহিত করেছেন বলে জানান।

সুত্র:ইত্তেফাক, ০১ জুন, ২০১৯


About the Author

RailNewsBD
রেল নিউজ বিডি (Rail News BD) বাংলাদেশের রেলের উপর একটি তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল।

Comments are closed.